নিজস্ব প্রতিবেদক সুনামগঞ্জ ঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে সিএনজি অটোরিকশা চুরির মামলা দায়ের করায় এক প্রবাসীকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ছাতক মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার আগিজাল গ্রামের হাজী ওয়ারিছ আলীর ছেলে ইরাক প্রবাসী আবদুল মজিদ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ জুলাই রাত ১২টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আল আমিনের গ্যারেজ থেকে তার মালিকানাধীন একটি সিএনজি অটোরিকশা (রেজিঃ সুনামগঞ্জ থ-১১-২৫১১) চুরি হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে ছাতক থানায় মামলা (নং ১৪/২৩৬) দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ রাউলী গ্রামের মৃত মখলিছ আলীর স্ত্রী ফুলবাহার,জালিয়া গ্রামের আবদুল কাদিরের স্ত্রী বেগম বাহার ও দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও গ্রামের ছুরাব আলীর ছেলে সায়মন আহমদকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে ফুলবাহার ও বেগম বাহার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে অন্যান্য আসামি এখনো ধরা পড়েনি এবং চুরি যাওয়া সিএনজিটিও উদ্ধার হয়নি।
আবদুল মজিদ অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকে প্রতিপক্ষরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। এ অবস্থায় গত ২০ আগস্ট ভোরে উপজেলার আগিজাল গ্রামের বুরহান উদ্দিনের জায়গায় তার রাখা ইটের স্তূপ থেকে যৌথবাহিনী একটি বিদেশি রিভলভার উদ্ধার করে। তিনি দাবি করেন, মামলার আসামিদের আত্মীয় ও প্রভাবশালী একটি মহল তাকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মামলার আসামিদের আত্মীয় কলিম উদ্দিন (৭ এপিবিএন সদস্য) তার নামীয় ফেসবুক আইডি থেকে অশ্লীল ভাষায় হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া মামলার ৪ নম্বর আসামি জামিল হকের সৎ ভাই রবিউল, চাচাতো ভাই ফয়জুল হকসহ রিয়াজুল হক মারুফ ও এইচকে শিপন আহমদসহ আরও কয়েকজন ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে তাকে মানহানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মজিদ বলেন, “আমার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন সিএনজি অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে আমি দুঃসহ জীবন-যাপন করছি। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, চুরি যাওয়া সিএনজি উদ্ধার ও হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
মন্তব্য করুন