টুডে সিলেট ডেস্ক
প্রকাশ : May 20, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

বড়লেখায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গ করে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ



মাহিনুর ইসলাম মাহিন, বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:


মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ডিমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গ করে সরকারি গাছ কেটে নেয়ার  অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিতভাবে দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের (প্রায় ৫০ বছরের পুরাতন) একটি আকাশি গাছ কেটে ফেলেন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। প্রথমে গাছটির ডালপালা ও কাঠ দুটি গাড়িতে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে গত ৯ মে, বিদ্যালয় ছুটির দিনে গাছটিকে ৯টি খন্ডে ভাগ করে আবারও নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি দেখাতে পারেননি। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জানান,পার্শ্ববর্তী জমির মালিকের ফসলের উপর গাছটি পড়ে গিয়েছিল। তার চাপে তিনি গাছটি কেটে স্কুল মাঠে রাখেন। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় গাছটি বিক্রি করেন। কাটানো বাবত সাড়ে চার হাজার টাকা শ্রমিক ব্যয় মিটিয়ে অবশিষ্ট ১ হাজার টাকা তিনি সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। তবে এলাকাবাসী জানান, তাদের লিখিত অভিযোগের পর তিনি এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম, এলাকার বাসিন্দা সুমন আহমদ, মুজিবুর রহমান, ফয়জুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, আলী হোসেন, আব্দুল মুকিত প্রমুখ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে গাছটি বিক্রির ব্যবস্থা নিলে সরকারের ৫০/৬০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হতো। কিন্তু তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রথমে গাছটি কাটেন। তৎক্ষণাৎ কিছু অংশ এবং পরে গাছের পুরো অংশই বাড়িতে নিয়ে যান। অভিযোগকারিরা বলেন, ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক গাছ বিক্রি বাবত মাত্র ১ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। অর্ধলক্ষাধিক টাকার গাছের মূল্য মাত্র ১ হাজার টাকা পরিশোধে এলাকায় হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। এটিও প্রধান শিক্ষকের বড় ধরণের দুর্নীতি বলা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম জুবায়ের আলম বলেন, আমি ইউএনও স্যারের নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন করে গাছ কাটার  তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিধি ভঙ্গ করে প্রধান শিক্ষক গাছ কেটে নিয়েছেন সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা করেননি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে করেছেন বলে প্রধান শিক্ষক যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গাছ কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিছুই অবগত নন।
ইউএনও তাহমিনা আক্তার জানান, রোববার স্কুলের সরকারি গাছ আত্মসাতের একটি লিখিত অভিযোগ পান। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জে বৈধতা দিচ্ছে পশুর হাট—ভারতীয় গরু-মহিষের ব্যবসা জম

1

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেটের নির্বাচন সম্পন্ন

2

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন এক কথায় অবাস্তব এবং অসম্ভব: সারজিস আ

3

হুমায়ুন কবির বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে নিয়োগপ্রাপ্ত

4

বড়লেখায় ফকির বাজার মিডবার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা

5

ছাত‌কে সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন থানায় হস্তান্তর

6

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা (বাসক) এর পক্ষ থেকে ফ্রান্স প

7

দুর্গাপূজাকে ঘিরে মাদকবিরোধী অভিযান: মধ্যনগরে ২০০ লিটার চুলা

8

টিউলিপের চিঠির বিষয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব

9

টাঙ্গুয়ার হাওরে মৎস্য সংরক্ষণে অভিযান: বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ

10

হাসপাতালে জামায়াত আমির, খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান

11

সিলেটে সুনামগঞ্জ সমিতির ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন

12

বদলে যাওয়া ক্যাম্পাস

13

সিলেট বিভাগে রেলপথ অবরোধের ডাক, ৮ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীদের

14

জাতীয় পার্টি জিন্দা লাশ: নানকের সঙ্গে ফোনালাপে হাসিনা

15

ছাতকে নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে আরও ২০ জনকে পুশইন

16

লন্ডন থেকে ফিরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক মেয়র আরিফ

17

উত্তাল নেপালে হোটেলে অবরুদ্ধ বাংলাদেশ দল, অনুশীলন স্থগিত

18

হাওরে বোরো ধান কাটার উৎসব, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

19

সিলেটে রাগীব আলীর ডা কা তি মামলায় মেয়ে রেজিনা জেলহাজতে

20