ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি— জনগণের ইচ্ছাই হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন..
বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’-এ স্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এ ঐতিহাসিক স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতারা বলেন, জুলাই সনদ কেবল একটি রাজনৈতিক দলিল নয়— এটি জনগণের রক্ত ও ত্যাগে অর্জিত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার।
গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সাত দফা প্রতিশ্রুতি
সনদের অঙ্গীকারনামায় বলা হয়—
১️⃣ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জনগণের ইচ্ছা ও ত্যাগের প্রতিফলন হিসেবে প্রণীত জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
২️⃣ জনগণই রাষ্ট্রের মালিক— তাদের ইচ্ছাই হবে সর্বোচ্চ আইন। এ সনদ সংবিধানের তফসিল হিসেবে যুক্ত করা হবে।
৩️⃣ জুলাই সনদের বৈধতা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা হবে না; বরং এর প্রতিটি ধাপে সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
৪️⃣ ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবে।
৫️⃣ আন্দোলনে নিহত শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, আহতদের বীরযোদ্ধার স্বীকৃতি ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হবে।
৬️⃣ সংবিধান, নির্বাচন, বিচার, প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার সংস্কার কার্যকর করা হবে।
৭️⃣ যেসব সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য, তা কোনো বিলম্ব ছাড়াই কার্যকর করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
‘গণতন্ত্রের নতুন ভোর’
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা বলেন,
এই সনদই বাংলাদেশের নতুন দিগন্ত। জনগণের ইচ্ছা ও রক্তের বিনিময়ে পাওয়া গণতন্ত্রকে আর কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।”
ড. ইউনূস বলেন,
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এই সনদ আমাদের জাতির নতুন চুক্তি।
মন্তব্য করুন