টুডে সিলেট ডেস্ক
প্রকাশ : Jun 9, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান


মাহিনুর ইসলাম মাহিন, বড়লেখা প্রতিনিধি: 
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর মুক্ত পরিবেশে কথা বলার সুযোগ ছিল না। মানুষের কণ্ঠ রোধ করে দেওয়া হয়েছিল। মানুষ কাঁদতেও পারে নাই; হাঁসতেও পারে নাই। এমন একটা নির্বাক অবস্থায় মানবতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। 

সোমবার (৯ জুন) বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা  শাখার সামনে এই সমাবেশ হয়।  
উপজেলা জামায়াতের আমীর এমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাছিতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ রেদওয়ান আহমদ। সংগীত পরিবেশনা করেন বড়লেখা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা। 
আওয়ামী লীগের দু:শাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই আমলের শাসকরা বলতেন বাংলাদেশে এখন শান্তি আর শান্তি। কোনো জায়গায় কোনো বিশৃঙ্খলা নাই। আমরা বলতাম হ্যাঁ, এটাই কবরস্থানের শান্তি। কবরস্থানে যারা বসবাস করেন; তারা মাটির সঙ্গে মিশে গেছেন। আল্লাহ তাদের আত্মা সংরক্ষণ করেছেন। তাদের মুখের ভাষা কেউ বুঝেন না। তারাও বলতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষকে কার্যত সেভাবেই তাদের ভাষাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলতেন। তারা বলতেন গণতন্ত্র না উন্নয়ন। অর্থাৎ তারা নিজেরাই শিকার করতেন তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। তারা ছাড়া অন্য কোনো দল; এটা ইসলামের হোক বা সাধারণ দল হোক; আর কোনো দলের অস্তিত্ব তারা দেখতে চান না। 
তিনটি নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরেন ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তাদের হাতে তিনটা নির্বাচন হয়েছে। প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা ছাড়াই ১৫৪ জন পাশ। আমি জানিনা বড়লেখার তখনকার এমপি সাহেব কেমনে হয়েছেন। সেই নির্বাচনের সময় চিত্র দেখা গিয়েছে; বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলার ভোটার ভোট দিতে যায় নাই। সেখানে অতীতে হিসাবে গিয়েছে কুকুর। গিয়েছে বিড়াল, শান্তিতে শুয়ে আছে স্কুলের আঙিনায়। মানুষ নাই। পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসাররা ঘুমাচ্ছেন। কারণ ভোটার নাইতো এজেন্টা গিয়ে কী করবেন। ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো কোনো মানুষ ছিল না। থাকবে কেমনে। তারা খবর পেয়েছে অন্য কোনো মানুষ ইলেকশন করতে পারে, তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জল্লাদবাহিনী। তারা গিয়ে বলেছে, আপনি বাঁচতে চান না, মরতে চান। বাঁচতে চাইলে নির্বাচন নাই।  এরপরের নির্বাচন, সেই নির্বাচনে বিশ্ববাসী আমাদের বলতে থাকলো তোমরা ২০১৪ নির্বাচনটা গেলে না। বর্জন করলা। এজন্য তো এই অবস্থা হয়েছে, তোমরা যাও। আমরা দেখব যে গণতন্ত্র ও নির্বাচন ওরা দেয় কিনা। সুষ্ঠু নির্বাচনে ওরা বিশ্বাস করে কিনা আমরা দেখব। তারা আমাদের কথা দিয়েছে করবে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমরা যাইনি। বিরোধী দলের কেউ কেউ গিয়েছিলেন। মেহমানদারীর পর কথা যখন উঠল, তখন তিনি বললেন আমি ওমুকের কন্যা। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখুন। তারা আস্থা রেখে আসলেন। আসার পরের দিনের মাথায় দেখা গেল, নির্বাচনে বিরোধী সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং জেলে নেওয়া হচ্ছে। আবার যখন দেখা করলেন, তখন তাদের সাথে অপমানজনক আচরণ করলেন। তার মুখ বদলে গেল। তিনি অত্যন্ত রুক্ষ্ম হয়ে, রুঢ় হয়ে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করলেন। সিগন্যাল তারা পেয়ে গেলেন। আমরা বলেছিলাম এই নির্বাচনে গিয়েও হাসের ডিমও পাওয়া যাবে না। এখানে গেলে ঘোড়ার ডিম পাওয়া যাবে। তারপরও নির্বাচনে স্যাম্বলিক গিয়েছিলাম। আমরা যখন দেখলাম আগের রাতে নির্বাচন শেষ। বিবিসির সাংবাদিক আমাকে ফোনে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি ঢাকা-১৫ আসন থেকে নির্বাচর করছেন, আগামীকালের নির্বাচন কেমন প্রত্যাশা করছেন? আমি বললাম আগামীকালেরটা রাখেন আজকে রাতেরটাই আপনাকে বলি। আগামীকালেরটা আসবে না। রাতেই শেষ। উনি বলেন, কী বললেন। আমি বললাম আপনি সাংবাদিক। দুই-একটা সেন্টার ঘূরে দেখেন। তিনি পাঁচ-সাত সেন্টার ঘুরে বললেন, নির্বাচন তো  আজকে রাতেই শেষ হয়েছে। এই নির্বাচনকে বিশ্বের মানুষ বলেছিল নিশীরাতের নির্বাচন। নিশীরাতের নির্বাচন দেখার পর এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। প্রধান বিরোধী দলগুলো তো নির্বাচনে যায়নি। বিনাপ্রতিদন্ধিতায় ১৫৪ জন পাশ। তারা এটা থেকে উত্তরণ চাইল। এই উত্তরণ করতে গিয়ে কাউকে আর পাওয়া গেল না। তখন দলের নেতাকর্মীদের বলল, দলের সদস্য হয়ে কেউ চাইলে তিনি স্বতন্ত্র ইলেকশন করতে পারবেন। নৌকা আছে। আর নৌকার মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। তাহলে প্রথম নির্বাচন গেল ভোটারবিহীন, দ্বিতীয়টা হল নিশীরাত। তৃতীয় নির্বাচন হল আমি আর ডামি। এই নির্বাচনের পর তারা ঘোষণা দিলেন আওয়ামী লীগ আগামী ৪১ সাল পর্যন্ত দেশকে এইভাবে সাজাব। অর্থাৎ তারা ২০২৪ সালে মেসেজ দিলেন আমরা ৪১ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে আছি। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা-যন্ত্রণা। এই দেশ কোথায় যাচ্ছে। আদৌ দেশের অস্তিত্ব থাকবে কিনা বিক্রি হয়ে যাবে। যেভাবে দেশ তার মানইজ্জত, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব হারাচ্ছে; স্বাধীনতা কী ধরে রাখতে পারবে। মানুষ তার মানবিক অধিকারী ও নাগরিক অধিকার ফিরে পাবে। বাঁচার অধিকার পাবে। ইজ্জতের অধিকার পাবে। সম্পদের অধিকার পাবে নাকি পাবে না। এই রকম একটা আশঙ্কা, আতঙ্ক মানুষের মধ্যে দেখা দিল। ২০২৪ সালে আমি হজ্বে গেলাম। অনেক মানুষ আমাকে কাচুমাচু আর কাতর হয়ে জিজ্ঞাস করে, এই জুলুম থেকে জাতি বের হওয়ার কোনো পথ আছে। আমি বলতাম অবশ্যই আছে। আল্লাহ তো আছেন। তিনি দেখছেন। তিনি সব শুনেন ও দেখেন। যারা অহংকার আর গর্জন দেয় তাদের কথাও শুনেন। আর যে মজলুম নির্যাতিত হয়ে চোখের পানি ফেলে তার কান্নাও শুনেন। চোখের পানিও দেখেন। সুতরাং এই দেশ অনিবার্যভাবে বদলাবে ইনশাআল্লাহ। উনারা জিজ্ঞাসা করতেন আদৌ কি তা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হয়ে গেল। একের পর এক আন্দোলন করতে গিয়ে বহু জীবন গেল। মামলা খেলেন। জেলে গেলেন। পঙ্গু হলেন। গুম হলেন। খুন হলেন। এখন কাকে দিয়ে এটা হবে। বলতাম আমাদের যুব সমাজকে দিয়ে হবে ইনশা আল্লাহ। তারা বলেন, এটা কীভাবে বলেন। যে যুব সমাজ মোবাইল আর ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকে, এদের দিয়ে সমাজ বদলাবে। আমি বলতাম দেখেন, আল্লাহর নবীর হাতে আরব বদলেছে। এই যুবকদের নিয়ে। দুনিয়ার সব কিছু পরিবর্তন হচ্ছে যুবকদের মাধ্যমে। বাংলাদেশের যুবকরা একদিন বিস্ফোরিত হবে এবং বাংলাদেশ বদলাবে ইনশাআল্লাহ।  তখন জানতাম না জুলাইয়ের তুমুল আন্দোলন শুরু হবে। আজ ৩৬ জুলাইয়ে সরকারবে দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেবে জানতাম না। 
তিনি আরও বলেন, আমরা সেনাবাহিনীকে জনগণের সাথে দেখতে চাই। আমরা কোনো দলের সাথে দেখতে চাই না। সেনাবাহিনী কোনো দলের না। আবার সেনাবাহিনী কোনো দলের বিপক্ষেও না। সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে পাহারায় নিয়োজিত। তারা আমাদের অহংকার। সেনাবাহিনী যতদিন পর্যন্ত এই জায়গায় থাকবে আল্লাহ তালা তাদের মর্যাদায় রাখবেন। আমরা দোয়া করি সেনাবাহিনীর এই মর্যাদা যেন আল্লাহ রক্ষা করেন। 

জামায়াত আমীর দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর যারা জাতীর ওপর জুলুম করল, এখনও কিন্তু তারা জুলুম অব্যাহত রেখেছে। মাঝেমধ্যে তারা মাথা উচু করে বিভিন্ন কথা বলে। এইটা লাগাইয়া দেও। ওইটা বাজাইয়া দেও। তছনছ করে দাও। আমরা ঢুকে যাবে পুশ করে অথবা যেকোনো একভাবে। এটার মাধ্যমে জাতীকে অস্থির করতে চায় তারা। তারা এত মানুষ খুন করলেন। আড়াই বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত খুন করলেন কিন্তু তারা লজ্জিত হয় না। তাদের অপকর্মের জন্য একটু অনুশোচনাও করবে না। একটু জাতীর কাছে মাফ চাইবে না। প্রমাণ তো সব কিছু তাজা। সেইটা না করে তারা জাতীকে অস্থির করতে চায়। তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশের মায়েরা শুধুমাত্র একটা আবু সাঈদকে জন্ম দেয় নাই। এমন লক্ষ লক্ষ আবু সাঈদের জন্ম হয়েছে। কী বলেছিল আবু সাঈদ, সে তার বন্ধুদের দাবি আদায়ের জন্য বলেছিল হয় আমার অধিকার আমাদের দেয়। নাহয় আমার বুকে একটা গুলি দেয়। হাত পেতে বলেছিল, বুকের ভেতর তুমুল ঝড়। বুক পেতেছি গুলি কর। তারা অধিকার দেয় নাই। গুলি দিয়েছিল। আল্লাহর কসম আবু সাঈদ মরে যায়নি। সে বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছে। আবু সাঈদের মৃত্যু শুধু বাংলাদেশের বাবা-মায়ের হৃদয়কে নাড়া দেয়নি। গোটা বিশ্বের মানুষকে নাড়া দিয়েছিল। আবু সাঈদ আমাদের অহংকার। আমাদের সেনাপতি। আমাদের বীর। তার মতো যারা লড়াই করে জীবন দিয়েছে তারাই আমাদের জাতীয় বীর। তাদের বীরের মর্যাদা দিতে হবে। কারণ তাদের কারণে বাংলাদেশ আজ মুক্তি পেয়েছে। 
ডা. শফিকুর রহমান যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যুবকদের স্যালুট জানাই। ধন্যবাদ জানাই। তোমাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পরিবর্তন হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর তিলে তিলে জালিমের যাতাকলে আমরা পিষ্ট হয়েছি। প্রতিবাদ করেছি। আন্দোলন করেছি। ফ্যাসিবাদীদেরকে আমরা বিদায় করতে পারি নাই। তবে ফ্যাসিবাদের বিদায়ের ভীত আমরা রচনা করে দিয়েছিলাম। তোমরা তার ওপর দাঁড়িয়ে শেষ কাজটা সম্পন্ন করেছো। তাই আমরা একটা বিশৃঙ্খল বাংলাদেশ  চাই না। একটা সুশৃঙ্খল মানবিক বাংলাদেশ আমরা যেন দেখে যেতে পারি। তোমাদের জন্য এই দেশ। যে দেশে মাথা উচু করে মর্যাদার সাথে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাথে তোমরা দাঁড়াতে পারবা। এমন একটি দেশ, এমন একটি বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। আমাদের বিশ্বাস যে যুবসমাজ বুক পেতে গুলি নিয়ে জাতীকে মুক্তির স্বাদ এনে দিয়েছে, আগামীতে বাংলাদেশ বির্নিমাণে তারা বিরোচিত ভূমিকা পালন করবে। 
তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন ডিসেম্বর থেকে জুনের ভেতরে দেবেন। তিনি ইতিমধ্যে বলেছেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে হবে। আমরা বরাবর বলে এসেছি তিনি যেন তার কথার ওপর অটুট থাকেন। জাতীকে দেওয়া ওয়াদা যেন রক্ষা করেন। আমরা অবশ্য তাকে বলেছিলাম রমজানের আগে হলে ভাল হয়। যদি একান্ত কারণে আপনি মনে করে কিছুটা পিছাতে হয় তাহলে অবশ্যই তা এপ্রিলের পরে হওয়া উচিত নয়, দেশের আবহাওয়া ও সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা নিয়ে। আমরা তাকে অনুরোধ করব- যেকোনো মূল্যে আপনি আপনার ওয়াদা রক্ষা করবেন। এই নির্বাচন যেন কোনোভাবে অনিশ্চিত না হয়। এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, জনগণ যাতে তার পছন্দ, আদর্শের ব্যক্তিকে ও দলকে বাছাই করতে পারে, তার স্বপক্ষে নিজের ভোট দিতে পারে। এই জন্য দেশবাসীসহ আমরা সবাই পাহারাদারের ভূমিকা পালন করব। 

ডা. শফিকুর রহমান যুবকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, সাড়ে ১৫ বছর তোমরা ভোট দিতে পারো নাই। এই যুবকরাই লড়াই করে আজকের এই সরকার গঠন করে দিয়েছে। এবার যেসব যুবকদের বয়স ১৮ বছর হবে তাদের প্রত্যেকের ভোট যেন নিশ্চিত করা হয়। প্রবাসে অবস্থানরত ভাইবোনেরা সমানতালে লড়াই করেছে; তারা রেমিট্যান্স বন্ধ করে লড়াই করেছে, লেখালেখি করেছে। এমনকি যেদেশে মিছিল মিটিং নিষিদ্ধ সেখানে জীবন, চাকরি বাজী রেখে তোয়াক্কা না করে তারা সেসমস্ত কর্মসূচি আমাদের সাথে পালন করেছে। তাদের কাছে আমরা ঋণি। সেই দেশের প্রশাসন তাদের জেলে ভরেছে। শাস্তি দিয়েছে। প্রাথমিক পদক্ষেপে তাদের অনেকেই মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু এখনও কিছু কিছু ভাই জেলের ভেতরে রয়ে গেছেন। সরকারকে বলেছি, তাদের অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। সম্মানজনক জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে তাদের পুর্নবাসিত করুন। এবং প্রবাসীদের ভোটার অধিকার নিশ্চিত করুন। তাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলবেন আর নাগরিকেত্বের প্রথম অধিকার তাদের ভোট দেবেন না-এটা আমরা মানব না। এবারের ভোটে সমস্ত প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই ভোট তারা যেন স্বচ্ছভাবে দেশে কিংবা বিদেশে বসে দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এবারের ভোটে যদি কোনো অপশক্তি কালো হাত আর কালো টাকা নিয়ে এগিয়ে আসে, যেভাবে জুলাই আন্দোলনে তোমরা বুক চেতিয়ে সফল করেছো। সেই কালো অপশক্তিতে তোমরা ব্যর্থ করে দেবে। তোমরা হয়ত ভাবছো  আমাদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে তোমরা নির্ভার। আমরা যেমন জুলাইয়ে তোমাদের নেতৃত্বে লড়াই করেছি, এবারের ভোটার লড়াইও তোমাদের নেতৃত্ব হবে ইনশা আল্লাহ। 
তিনি বলেন, আমরা যুবকদের সম্মানের আসনে রেখে যেতে চাই। শিশু থেকে যুবক-আমরা তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। আমরা সেই শিক্ষা আর চাই না, যেই শিক্ষা মানুষকে মানুষ হতে শেখায় না। যেই শিক্ষা মানুষের জ্ঞানের উতকর্ষ সাধন করতে পারে না। যেই শিক্ষার কারণে একটা মামুলি চাকরি জুটে না। আমরা এমন পড়ালেখা চাই। যেই পড়ালেখা শেষ হওয়ার আগে তার চাকরি ঘরে চলে আসবে। আমরা সেটা নিশ্চিত করতে চাই। আল্লাহ যদি আমাদের এই দেশের সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে আমরা প্রথমে হাত দেব শিক্ষায়। শিক্ষা এমন হাত তৈরি করে দেবে যে হাতগুলো হবে জাতী গড়ার কারিগর। 

অনুষ্ঠানে বিশের অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আইনজীবী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান, জেলা মজলিশে শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এবং মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় এইচআরডি সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানা জামায়াতের আমীর শাহিন আহমদ খান, খেলাফত মজলিসের বড়লেখা উপজেলা সভাপতি কাজী মাওলানা এনামুল হক, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ড. আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু, মৌলভীবাজার জেলা শিবিরের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলার শহর শিবিরের সভাপতি তারেক আজিজ, বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মাহফুজ সুমন, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের শুরা সদস্য আলীম উদ্দিন, বড়লেখা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতের শুরা এবং কর্ম পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম সুহেল, বড়লেখা পৌরসভা জামায়াতের সভাপতি ও উপজেলা জামায়াতের শুরা এবং কর্ম পরিষদ সদস্য জুবায়ের আহমদ, উপজেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মোহাঃ আবু তাহের, বড়লেখা উপজেলা শহর শিবিরের সভাপতি হুমায়ূন কবির সাজু প্রমুখ।
এসময় ঢাকা মহানগরী উত্তর জামাতের আমীর সেলিম উদ্দিন, জেলা জামায়তের সেক্রেটারি সৈয়দ ইয়ামীর আলী, কর্ম পরিষদের মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, পেশাজীবী বিভাগ সিলেট মহানগরীর শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. হোসাইন আহমদ, বড়লেখা জামায়াতের শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য এবং অফিস সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বড়লেখা পৌর জামায়তের সাবেক সভাপতি খিজির আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমদ ফারুক, সাবেক জেলা সভাপতি আজিজ আহমদ কিবরিয়া, সাবেক সভাপতি হাফিজ তাজুল ইসলাম, সিলেট মহানগর শিবিরের সাবেক সভাপতি শফিকুল আলম মফিক, সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জের সীমান্তে বিজিবির সতর্ক অবস্থান

1

ছাতকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা

2

হাওরে বোরো ধান কাটার উৎসব, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

3

কমল জ্বালানি তেলের দাম

4

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী হাউজ বোটে ভয়াবহ অগ্ন

5

দল নিষিদ্ধের বিধানসহ সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ জারি সোমবার

6

সিলেটে পাঁচ ভাই ও পানসি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

7

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান

8

এটি শুধু রাস্তা নয়,আমাদের বাঁচার পথ" কমলগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে

9

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা এখন ‘গাজা’

10

বড়লেখায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গ করে সরকারি গাছ কাট

11

মরমী দর্শনের চর্চা ও বিকাশ সমাজ থেকে অন্যায় ও অনাচার দূর করে

12

সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে জনগণের আশা পূরণ হবে না: জামায়াত আ

13

জিন্দাবাজারে ড্রেনের উপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করলো সিসিক

14

সরকার বাড়িয়ে দিলেও চামড়ায় এবারও কাঙ্ক্ষিত দাম মেলেনি

15

ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কিনা, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

16

বড়লেখায় ভুয়া আইডি দিয়ে সাংবাদিক রমিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

17

সিলেটে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড -

18

সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে বড়লেখায় নিসচা'র সচেতনতা মূলক ল

19

বড়লেখা পরগনাহী দৌলতপুর মাদ্রাসার নবগঠিত গভর্নিং বডির প্রথম স

20