নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সিলেটে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা।
সকাল থেকে নগরের প্রধান সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে হাজারও চালক আন্দোলনে অংশ নেন। হাতে লাল কাপড় ও মুখে ক্ষোভের প্রকাশ নিয়ে তারা দিনভর রাজপথে অবস্থান নেন। ফলে চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজারসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চৌহাট্টা এলাকায় সেনাবাহিনী ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চার দিনের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন। শ্রমিক নেতারা ঘোষণা দেন, আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানা হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রতীকী অনশন পালন করবেন তারা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ব্যাটারিচালিত রিকশা নিম্নআয়ের মানুষের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। প্রশাসনের আকস্মিক সিদ্ধান্তে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার অনিশ্চয়তায় পড়েছে। কোনো বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছাড়াই জীবিকার পথ বন্ধ করা অমানবিক বলে তারা অভিযোগ করেন।
১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—
ব্যাটারিচালিত রিকশার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
আটক যানবাহন ফেরত দেওয়া
চার্জিং পয়েন্টে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন
লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা
চালকদের হয়রানি বন্ধ করা
বিকল্প কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়া
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত ওই অভিযানে বহু রিকশা জব্দ করা হয় এবং একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
মন্তব্য করুন