নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদা পাথর লুটপাট মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ নেতা আলফু মিয়া এবং তার ছেলে কাজী বায়েজিদ আহমদ আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে।
সেদিন সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে আলফু মিয়ার রিমান্ড শুনানি চলছিল। খবর সংগ্রহ করতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক, যার মধ্যে ছিলেন ইমজা নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকার ও সাংবাদিক বৃত্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুনানি চলাকালে আলফু মিয়া পুলিশের সামনেই সাংবাদিক নয়ন সরকারের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন, আর তার ছেলে বায়েজিদ সাংবাদিক বৃত্তের ক্যামেরা কেড়ে নেন। পরে নয়নের সহকর্মীরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
সাংবাদিক নয়ন সরকার বলেন,
“আমি খবর সংগ্রহ করছিলাম। হঠাৎ আলফু মিয়ার ছেলে আমার ওপর হামলা চালায়। এরপর পুলিশের সামনেই হাতকড়া পরা অবস্থায় আলফু নিজেই আমার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়।”
ঘটনার পর নয়ন বিষয়টি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।
আইনজীবী ময়নুল হক বুলবুল এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন,
তিনটি হত্যা মামলাসহ বহু মামলার আসামিকে কীভাবে হাত খোলা অবস্থায় আদালতে আনা হলো? আইন অনুযায়ী এমন আসামিকে ডান্ডাবাঁধা অবস্থায় আনা উচিত। এটি আমাদের জন্য উদ্বেগজনক।”
তিনি আরও বলেন,
দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি সংবাদ সংগ্রহের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।”
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু বলেন,
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
মন্তব্য করুন