ফাতেমা রিপা::
তীব্র তাপদাহের পর এক পশলা বৃষ্টি যখন দেশবাসীর মনে অনেকটা স্বস্তি এনে দিয়েছিলো। ঠিক সেই সময় নতুন আতঙ্কের কারন হচ্ছে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি'। সারাদেশে আরও ৪-৫ দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।এতে ৩° ডিগ্রি পর্যন্ত তাপপ্রবাহ নেমে যেতে পারে।তবে মে মাসের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় টি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়া অফিস।বাংলাদেশ ওয়েদার অবজার্ভেশন টিম (BWOT) জানিয়েছেন ১৬-১৮ মে'র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হবে যা পরবর্তীতে ২৪ - ২৬ মে'র মধ্যে গভীর নিন্মচাপে পরিণত হয়ে ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে খুলনা বিভাগ।এছাড়াও অন্যান্য বিভাগের প্রায় ১৩ টি জেলার উপর দিয়ে ঘন্টায় ৪৫ - ৮০ কি.মি বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়া,ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ঘূর্ণিঝড় টির শক্তির মাত্রা নিয়ে জরুরি সর্তকতা জারি হয়নি এখন সার্বিক পরিস্থিতির পর্যবেক্ষন চলছে। তবে উপকূলীয় বাসিন্দা দের সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলো নিরাপদ স্থানে রাখা ও সময়মত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।কানাডার SASKATCHEWAN বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক প্রভাষক ও বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট আবহাওয়া.কম এর প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন,২৩- ২৮ মে'র মধ্যে ঘূর্ণিঝড় টি ভারতের উড়িশা ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।এছাড়াও তিনি সোমবার দুপুরে তার ফেইসবুক ভেরিফাইড পেইজে কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও জানান, সিলেটের বিভাগীয় জেলাগুলো বিশেষ করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় নিয়মিত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে সব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল।ফলে সিলেট বিভাগের হাওর এলাকার বিলগুলো পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব এলাকায় বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।সেইসাথে যেসকল বিলে এখনো ধান কাটা বাকি আছে সেগুলো ২০ মে'র মধ্যে কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।