বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন সড়কেই শেষ হলো সুনমগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের স্নেহা চক্রবর্তীর। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষে অটোরিকশায় করে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ২ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন শিক্ষার্থী আফসানা জাহান খুশি (১৮) ও স্নেহা চক্রবর্তী (১৭) এবং শফিকুল ইসলাম (৫৫)। আহত ব্যক্তিরা হলেন ঐশী রানী পাল (১৮) ও অটোরিকশাচালক রসিদ মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অটোরিকশাটি শান্তিগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জ শহরে আসছিল। পথে বাহাদুরপুর এলাকায় সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুজনকে।
দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও সহকারী বাস ফেলে পালিয়ে যান। ওই বাসে থাকা ছোটন দাস নামের এক যাত্রী জানান, তিনি বাসের পেছনের দিকের একটি আসনে বসা ছিলেন। বাহাদুরপুর এলাকায় যাওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছে, বাসটি হোঁচট খেয়েছে। পরে তাঁরা দেখেন, বাসটি সড়কের একেবারে কিনারে দাঁড়িয়ে আছে এবং চালক ও চালকের সহকারী নেমে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, আমরা সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তিন লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আর বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। চালক ও সহকারীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন