মাহিনুর ইসলাম মাহিন, বড়লেখা(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ আগষ্ট) রাতে সিলেটের টিকরপাড়া (পীরের বাজার) এলাকা থেকে শাহপরাণ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বড়লেখা থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা, একটি স্যামসাং স্মার্টফোন, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দা ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার মৃত চান মিয়ার ছেলে সেলিম আহমদ ওরফে অনিক ওরফে বটলা সেলিম (৩৫) এবং সিলেট জেলার শাহপরান থানার মীরমহল্লা এলাকার মৃত মানিক মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (২৫)।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ খসরু তার মেয়ে সুহাদা বেগম ও ছেলে সিয়াম আহমদকে সঙ্গে নিয়ে বড়লেখা পৌরশহরের পূবালী ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। শিমুলিয়া গ্রামের আতাউর রহমানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। এরপর তাদের গলায় দা ধরে সুহাদার হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগে নগদ ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, একটি স্যামসাং স্মার্টফোন, দুই ভরির একটি রুপার চেইন এবং ভিকটিমের জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল। এই ঘটনায় ওইদিনই ভুক্তভোগী বড়লেখা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরই বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লার তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান, এসআই রতন কুমার হালদার, এসআই সুব্রত চন্দ্র দাস ও অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাইয়ে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে সিলেটের টিকরপাড়া (পীরের বাজার) এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী সেলিম আহমদ ও সাকিব আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বড়লেখা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মোল্লা শনিবার বিকেলে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে এবং পলাতক আরও দুই সহযোগীর নামও প্রকাশ করেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম আপাতত প্রকাশ করা যাচ্ছে না। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই পুরো চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন