জগন্নাথপুর প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। ক্লাসরুমে পাঠদানের সময় প্রধান শিক্ষক নিজের হাতে থাকা ডাস্টার দিয়ে এক ছাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন!
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
গত ৯ নভেম্বর (রবিবার) বিকেল ৩টার দিকে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।
প্রধান শিক্ষক ফরুক আহমেদ পাঠদানের সময় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সাইদা বেগম (১৪)-এর ওপর চরমভাবে চড়াও হন।
সাক্ষীদের ভাষায়
তিনি একের পর এক ডাস্টার দিয়ে মারতে থাকেন, রক্ত ঝরতে শুরু করে মেয়েটির শরীর থেকে।”
পরে সহপাঠীরা চিৎকার শুরু করলে শিক্ষক থেমে যান। আহত সাইদাকে তাৎক্ষণিকভাবে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
দরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেয়ে
নির্যাতিত সাইদা বেগমের পিতা মুজিবুর রহমান, পাটলী ইউনিয়নের নন্দিরগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের এক দরিদ্র অটোচালক।
সাইদা কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী, রোল নম্বর ৪২।
পরিবার জানিয়েছে, সাইদা একজন মেধাবী ছাত্রী এবং প্রতিদিন নিয়মিতভাবে স্কুলে উপস্থিত থাকত।
ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই জগন্নাথপুর জুড়ে ক্ষোভের ঝড় ওঠে।
অভিভাবক ও স্থানীয়রা বলেন
একজন শিক্ষক যদি এভাবে ছাত্রীকে পেটান, তাহলে আমাদের সন্তানরা নিরাপদ থাকবে কোথায়?”
তারা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফরুক আহমেদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক নিখোঁজ
আজ (মঙ্গলবার) সরেজমিনে কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক ফরুক আহমেদ উপস্থিত নেই।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান জোয়ারদার পলাশ সাংবাদিকদের বলেন—
ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রধান শিক্ষক বর্তমানে বাইরে আছেন, তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিব্রত।
মন্তব্য করুন