নিজস্ব প্রতিনিধি ::
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার ছেলে আসাদ আহমদকে রিমান্ডে নিয়েও কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়নি পুলিশ। রিমান্ডে থাকাকালীন আসাদ একেক সময়ে একেক ধরণের তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
এ অবস্থায় আসাদ আহমদকে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। আগামী সোমবার (১০ নভেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল হকের আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ আসাদকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে তাকে আবারও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, রিমান্ডে থাকাকালীন আসাদ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে একাধিক ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন, যা তদন্তকে আরও জটিল করে তুলেছে।
মামলার নথি অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর নিহতের ছেলে আসাদ আহমদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন, যার শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঘটনাস্থল থেকে নিহত রাজ্জাকের লাশ উদ্ধারের সময় পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের গভীর চিহ্ন পাওয়া যায়। লাশের পাশ থেকে ২২ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরিও উদ্ধার করে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে—দুজনেরই বিয়ে হয়েছে। মাস দুয়েক আগে সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা করেন তিনি। এরপর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য ভারতে যান।
বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের সময় পর্যন্ত বাড়িতে অন্য কেউ ঢোকেনি বা বের হননি। শুধু সকাল আটটার দিকে গৃহকর্মী প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষণ পর সিঁড়ির ঘরে রাজ্জাকের লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল এবং চাবি নিহত রাজ্জাকের কাছেই ছিল।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও, পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন