জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে ঐক্যের বার্তা
স্টাফ রিপোর্টার:
দীর্ঘদিন পর এক কাতারে দেখা গেল সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত র্যালি ও সমাবেশে এ দৃশ্য দেখা যায়।
এদিন বিকেলে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-৪ আসনে দলের প্রার্থী সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনে মনোনীত প্রার্থী এম. এ. মালেক, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-৬ আসনে মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক এবং মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
দলীয় মনোনয়নসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন একসাথে না দেখা গেলেও এদিন ঐক্যবদ্ধভাবে একই মঞ্চে উপস্থিত হন নেতারা।
র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, “১৯৭৫ সালের এই দিনে নিদারুণ দুঃসময়ে দেশপ্রেমিক জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে যেমন দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, তেমনি জাতীয় সংকটের মুহূর্তে জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। জিয়ার বাংলাদেশ কখনও পরাধীন হবে না; এদেশ পার্শ্ববর্তী শক্তির সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলবে।”
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, “আঙুল বাকা করার ভয় দেখানো হচ্ছে— আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সেই আঙুল আমরা ভেঙে দেব। অতীতেও বহু ভয় দেখানো হয়েছিল, কিন্তু বিএনপি কখনও পিছু হটেনি, ভয় পায়নি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট জেলার ছয়টি আসনসহ পুরো বিভাগের ১৯টি আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বিজয়ের উপহার দেব, ইনশাআল্লাহ।”
দিবসটি উপলক্ষে জেলা ও মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল থানা, ওয়ার্ড, উপজেলা ও পৌর ইউনিটেও পৃথকভাবে র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও নিজেদের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করে।
মন্তব্য করুন