মোঃ মীরজাহান মিজান, বিশেষ প্রতিনিধি, জগন্নাথপুর:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরণ ও স্বজনশ্রী গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। শনিবার, ২০ ডিসেম্বর সকাল ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাণীগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে স্বজনশ্রী ও বাউধরণ গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি গ্রামীণ পাকা রাস্তা গোপরাপুর বাজার পর্যন্ত চলে। এই রাস্তায় ইজিবাইকসহ অন্যান্য ছোট যানবাহনের যাত্রী ওঠানামা নিয়ে উভয় গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা শেষে সহিংস সংঘর্ষে পরিণত হয়। দুই গ্রামের উত্তেজিত জনতা রণসাজে সজ্জিত হয়ে একে অপরের উপর চড়াও হয়।
এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন ব্যক্তি আহত হন, তাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আবুল হাশেম, হবিব খান, সুজন মিয়া, আবু বকর, মুন্না মিয়া, জিলু মিয়া, আইত্য মিয়া, তামিম আহমদ, মুর্শিদ মিয়া, মধু মিয়া, দোহা মিয়া, মুরছালিন মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, ফুলসাদ মিয়া, জমির উদ্দিন, ফাহিম মিয়া, হাবিবুর রহমান, সেজু মিয়া, রুমান মিয়া, তানভীর মিয়া, রাকিব আলী, ফুজায়েল মিয়া, লিটন মিয়া, আফছর উদ্দিন সহ আরও অনেকে আছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডা. বদরুদ্দোজা জানান, এখানে ৩০ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, "বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ কঠোর নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।"
এভাবে স্থানীয় দ্বন্দ্বের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে রোধ করা যায়, তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং নেতৃবৃন্দের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন