স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর মাছিমপুরে ‘গাড়ী পার্কিং’ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সাথে এলাকাবাসীর দুই দফা সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরীর উপশহর পয়েন্ট সংলগ্ন মাছিমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ৩১ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। ঘটনার পর পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে মধ্যরাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজ, যুবদল নেতা রুম্মান খান ও মুন্না।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে নগরীর উপশহর পয়েন্ট সংলগ্ন গার্ডেন টাওয়ার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজ হোসেন আজিজের সঙ্গে গাড়ি পার্কিং ও বসা নিয়ে মাছিমপুর এলাকার দীপু ও স্থানীয় ছেলেদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় আজিজ, রুম্মান খান ও মুন্না আহত হন। তাদেরকে সাথে সাথে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে আহতের খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে আজিজের অনুসারীরা মোটরসাইকেল নিয়ে মাছিমপুর এলাকায় দীপুর বাসায় হামলা করতে যান। তখন দীপুর অনুসারী ও এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করে। এলাকাবাসীর তোপের মূখে এসময় আজিজের অনুসারীরা মোটরসাইকেল রেখেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে এলাকাবাসী এসব মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাঙচুর করে। সাথে সাথে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম বলেন, মোটরসাইকেল পার্কিং করা নিয়ে মাছিমপুর ও উপশহরের ছেলেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে তারা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজসহ ৩ জনকে আহত করে। পরে আজিজের উপশহরের লোকজন মোটরসাইকেলে করে মাছিমপুরে সাবেক কাউন্সিলারের বাসায় হামলা চালায়। তখন এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া করলে তারা ৩১টি মোটরসাইকেল ফেলে চলে যায়। এলাকাবাসী এসব মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। আহত ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় আহহত আজিজ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাইনি। দলীয় হিসেবে নয়, স্থানীয় বিষয়ে নিয়েই এলাকাবাসী মিলে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তদন্তের পাশাপাশি অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ ঘটনার পর গভীর রাতে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান।
মন্তব্য করুন