টুডে সিলেট ডেস্ক
প্রকাশ : Jul 2, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত দুই নারীর বারান্দায় সন্তান প্রসব

অনিয়ম দুর্নীতির বেড়াজালে বন্দী সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিনই নানান অভিযোগ ও অনিয়ম প্রকাশ হচ্ছে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সোস্যাল মিডিয়ায়। তবুও থেমে নেই অনিয়ম।

 

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ২ জুলাই বিকেলে একেক করে দই প্রসুতি নারী আসেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগে। প্রচন্ড প্রসব ব্যথা থাকা সত্ত্বেও মিলেনি ডাক্তার বা নার্স। প্রসব বেদনায় ছটফট করতে থাকা দুই নারীর প্রতি সামান্য দয়া বা করে নি কেউ। অতঃপর অসম্ভব যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে ওয়ার্ডের বাহিরেই ১০ মিনিটের ব্যবধানে দু’জনেই সন্তান প্রসব করেন।

 

জানা যায়, দুই প্রসুতির একজন এসেছিলেন গোলাপগঞ্জের বাউসি গ্রাম থেকে। তিনি ওই গ্রামের রতন দাসের স্ত্রী মিতালী দাস (২৫)। অযত্ন অবহেলায় একটি পূত্র সন্তান প্রসব করেছেন তিনি। অপরজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের মো. শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম (১৯)। তিনিও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও দুই প্রসূতির স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, বিকেল ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫নং ওয়ার্ডে সামনে পৌঁছান সুমি ও মিতালী এবং তাদের স্বজনরা। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কর্মরত নার্সের কাছে গেলেও তারা তাদের কথা শুনেনি। বরং সিরিয়াল ধরার নির্দেশ দিয়ে দুই নার্স নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। রোগীর অবস্থা জরুরী বলার পরেও তারা জানিয়ে দেন তাদের করার কিছু নেই।

 

এ অবস্থায় বসে থাকা একজন প্রসূতির চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বসা অবস্থাতেই তিনি একটা পূত্র সন্তান প্রসব করেন। তখন উপস্থিত স্বজন ও অন্যান্যরা দ্রুত আড়াল দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এই আড়াল দিতে গিয়েও তারা নার্সদের কাছ থেকে কোনো সহযোগীতা পান নি। একটা পর্দ করার জন্য একটা চাদর চাইলেও তারা সাড়া দেননি। অবশেষ উপস্থিত একজন মহিলা নিজের পরনের শাড়ি খুলে আড়ালে ব্যবস্থা করেন। এর ১০ মিনিট পরে অপর মহিলাও একইভাবে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নার্সরা রোগীদের সাথে এমন অমানবিক আচরণ করতে পারে- তারা তা কল্পনাও করতে পারেন নি। প্রসবের পরে অবশ্য টনক নড়ে মোবাইলে ব্যাস্ত নার্সদের। আসেন একজন ডাক্তারও। দুই প্রসূতিকে স্থান দেয়া হয় ওয়ার্ডে।

 

এ ঘটনার পরপর আউট সোর্সিংয়ের সুপারভাইজার শওকতকে পাঠান ১৫নং ওয়ার্ডের কি হয়েছে জানতে। হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক তাকে পাঠিয়েছেন জানিয়ে শওকত বলেন, আমি এখানে এসে জানতে পেরেছি বারান্দায় দুই মহিলা সন্তান প্রসব করেছেন।
তিনি এর বেশী আর কিছু বলতে পারেন নি।

 

এব্যাপারে সিলেটের সচেতন মহল বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের সাথে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকতার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী,পুরুষসহ ১০ জনকে পুশইন

1

সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদন্ড ও মায়ের যাবজ্জীবন

2

১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

3

ভিজিএফের ২৩৪বস্তা চাল মাটিচাপা দিল বড়লেখা পৌর কর্তৃপক্ষ

4

বাড়ির দোতলায়ও পানি, ভাই–বোনের খোঁজ পাচ্ছেন না গায়িকা পুতুল

5

ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করার দাবীতে সিলেটে শোয়া কর্মসূচী

6

কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও নতুন গ্যাস মিলবে না: সিলেটে জ্

7

রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ না হলে কীভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে, প্র

8

সিলেট সীমান্তে কারফিউ জারি করল ভারত

9

উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি বিভ্রান্তিকর: বিএনপি

10

জুড়ীতে পানিতে ডুবে বৃদ্ধার মৃত্যু

11

৪৩তম বিসিএসের ২২৭ জনের প্রজ্ঞাপন হয়নি এখনো, রোববারের মধ্যে প

12

ছাতকে নীপা ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ৫হাজার টাকা

13

সিলেটের নতুন ডিসি আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম

14

সিলেটে আন্তর্জাতিক হিসাববিজ্ঞান দিবস উদযাপন করেছে এএফপিসি প্

15

গোপালগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৪

16

আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২০

17

রিমন হত্যায় সাংবাদিকসহ ১৮৪ জনের নামে মামলা,

18

মদ’ খেয়ে খুলনায় ৫ জনের মৃত্যু

19

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর: গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক

20