ঘরের মাঠে টানা দুই হারের শঙ্কা কাটিয়ে নাটকীয় জয়ে ফিরেছে সিলেট টাইটান্স।
নোয়াখালীর পেসার মেহেদী হাসান রানার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক ও চার উইকেটের ঝড় সত্ত্বেও শেষ বলের উত্তেজনায় ম্যাচ নিজেদের করে নেয় সিলেট।১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। মাত্র ৩৪ রানেই তিন ওপেনার সাজঘরে ফেরেন—সাইম আইয়ুব শূন্য, জাকির হাসান ১৩ ও রনি তালুকদার ৯ রান করে আউট হন। এই ধাক্কার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও উইকেটকিপার-ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৫০ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে সিলেট।ইমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলেই পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬০ রান করে তিনি বিদায় নিলে ৮৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভাঙে। এরপর আফিফ হোসেন দ্রুত ফিরে গেলে চাপ বাড়ে সিলেটের ওপর।
শেষদিকে নাটকের মঞ্চ তৈরি করেন মেহেদী হাসান রানা। ১৯তম ওভারে একের পর এক তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে বিপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ওই ওভারে আউট হন মিরাজ (৩৭ বলে ৩৩), নাসুম আহমেদ ও খালেদ আহমেদ। একপর্যায়ে ম্যাচ হাতছাড়া হতে বসে সিলেটের।শেষ ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় এক বলে এক রান। সেই চাপের মুহূর্তে ওয়াইড দেন সাব্বির হোসেন, ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে এক রান নিয়ে সিলেটকে জয় এনে দেন সালমান ইরশাদ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নোয়াখালীর শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। ৯ রানেই তিন উইকেট হারালেও অধিনায়ক সৈকত আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন দলের ইনিংস সামাল দেন। পরে জাকের আলীর সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়ে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন অঙ্কন। ৫১ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন তিনি, জাকের করেন ১৭ বলে ২৯।
সিলেটের বোলারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ চার উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন। তবে শেষ হাসি হেসেছে সিলেটই—রানার হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে শেষ বলের রোমাঞ্চে।
মন্তব্য করুন