জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ প্রকাশ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ কীভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক স্বাধীনতা খর্ব করেছে এবং আমাদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করেছে। তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর ক্ষত এখনো তাজা।'
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই দলের (আওয়ামী লীগ) কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কথা বলতে গেলে আওয়ামী লীগ কীভাবে বারবার প্রহসনের নির্বাচন করেছে, আমাদের নির্বাচনি প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি করেছে, সেসব কথা আমাদের মনে আছে। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য একটি সংস্কার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত রয়েছি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন পুরোপুরি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানাতে আমরা সবাইকে আহ্বান জানাই।'
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রমের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ঘটনা একটি উদ্বেগজনক পদক্ষেপ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত “গণতান্ত্রিক অধিকার হ্রাস এবং রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হওয়া” নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন। কারণ, এর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে এবং সেই কারণে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।’
মন্তব্য করুন