সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে- এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। আগামীকাল এটি জারি হতে পারে।
আজ রোববার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থেকে জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার সংশোধনীটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হতে পারে।
সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বিভিন্ন দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার (১০ মে) বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করতে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কোনো সত্তাকে (দল ও সংগঠন) নিষিদ্ধ করে অধ্যাদেশ জারি করার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন ছিল না।
সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং এর কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার জন সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু এই আইনে কোনো সত্তার (দল-সংগঠন) কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো বিধান নেই।
আজ অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। উক্ত আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে যুক্তিসঙ্গত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ব্যক্তিকে তফশিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফশিলে তালিকাভুক্ত করতে পারে।
‘তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। উক্ত বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ সময়োপযোগী করে উক্ত আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।’
এই প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে সারসংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন