নিজস্ব প্রতিবেদক সুনামগঞ্জ::
সুনামগঞ্জের ছাতকে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।যৌতুক লোভী স্বামীকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের বড় বিহাই গ্রামের স্বামীর বসত ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার বাদ যোহর একই ইউনিয়নের নানকার গ্রামে তার দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় যৌতুক লোভী স্বামীকে থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
জানাযায়, গত ৩ এপ্রিল উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের নানকার গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের কন্যা রোকশানা বেগমের বিয়ে হয় একই উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের বড় বিহাই গ্রামের সফর আলীর ছেলে দুবাই ফেরত আলী হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে স্বামী তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য মানসিক ভাবে কষ্ট দিয়ে আসছিল। তার বিয়েতে ফ্রিজ ও চুলা না দেওয়ায় স্ত্রীকে মারপিট অপমান করতো তার স্বামী্।এ
বিষয়টি মা সহ আত্নীয় স্বজনদেরও অবহিত করেছে কন্যা রোকশানা। সংসার সুখের জন্য দরিদ্র পরিবারের মা ভাইয়ের কাছ থেকে স্বামীর জন্য দুইবার নগদ অর্থ এনে দেয় সে। তার পরও যৌতুক লোভি স্বামীর মন রক্ষা করতে পারেনি স্ত্রী।
গত বুধবার সকালে বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিল নববধূর লাশ। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন এই অবস্থায় দেখে তাকে নামানোর চেষ্টা করেনি। এ খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে এসে লাশ উদ্ধার এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। হত্যা না আত্মহত্যা এই বিষয়টি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে, ওইদিন রাতে পুলিশ তার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে নিহতের বড় বোন নাজমা বেগম বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় দায়েরি মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আদালত তার জামিন না মঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। এব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান আকন্দ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,যৌতুক লোভী স্বামী আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন