শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র্যাগিং ইস্যুতে ২৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে মিছিলটি প্রক্টর অফিসে গিয়ে পুনরায় গোলচত্ত্বরে ফিরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন—
“প্রহসনের বহিষ্কার মানি না, মানবো না”,
“প্রশাসনের সৈরাচারিতা মানি না, মানবো না”,
“আমাদের দাবি মানতে হবে”,
“জাস্টিস, জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস” ইত্যাদি।
প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থানকালে অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর ইসলাম হাফিজ বলেন,
> “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাটক শুরু করেছে। আর এই নাটকের স্ক্রিপ্ট বানায় প্রক্টর অফিস। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করার যে পাঁয়তারা, সেটা সাস্টে চলবে না।”
পরবর্তীতে গোলচত্ত্বরে ফিরে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন চলবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন,
> “উপাচার্য ও আমি দুই বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বসেছিলাম। আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি, তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিভাগের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে আপিল করলে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দিকে যাবে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় র্যাগিং ইস্যুতে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের মোট ২৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন। সবাই ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। একজনকে আজীবনের জন্য এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সকলকেই আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন