মাহিনুর ইসলাম মাহিন, বড়লেখা প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ভয়েস ওফ জালালাবাদ নামক একটি ফেক আইডি থেকে বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৪নং উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার মোঃ কাজী রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর হীন উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মে উক্ত ফেক আইডি থেকে এমন বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হয়। বিষয়টি কাজী রমিজের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ওই দিন (২৭ মে) বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার উক্ত ভয়েস ওফ জালালাবাদ আইডির ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, উক্ত আইডির ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। শীঘ্রই আইডির ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনার কাজ চলমান আছে। পাশাপাশি উক্ত পোস্টে যারা লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করেছেন তাদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোঃ কাজী রমিজ উদ্দিন ৪নং উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার হিসাবে দায়িত্বে আছেন। পাশাপাশি তিনি বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক, তাছাড়া দীর্ঘ ২০ বছর যাবত দৈনিক সংগ্রামের বড়লেখা উপজেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত আছি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন সমর্থক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা রকম সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের সহিত জড়িত। গত ১৪/০৫/২০২৫ইং তারিখে এক সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য তিনি তার শ্বশুর বাড়ীতে যান। সেখানে তার শ্বশুর ও খালা শ্বশুরদের সহিত একটি গ্রুফ ছবি তুলে উক্ত ছবিটি তিনি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করেন। এরপর পারিবারিক অনুষ্ঠানে তোলা উক্ত ছবি তার ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করে জনৈক ব্যক্তি তার মানহানি করার হীন উদ্দেশ্যে ভয়েস ওফ জালাবাদে মিথ্যা, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ, আজেবাজে লেখা পোস্ট করে। যাতে তার সম্মান হানী ঘটেছে। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, কিছু কুচক্রী মহলের লোকজন তাঁর সম্মান হানির জন্য এ পোস্ট করিয়েছে। এতে অনেকে লাইক, কমেন্টে ও শেয়ার করে আজেবাজে মন্তব্য করছেন। এতে তাঁর ও তার পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে।
মোঃ কাজী রমিজ উদ্দিন বলেন, আমার দীর্ঘ পেশাগত জীবনে কোনো অন্যায় ও অপরাধমূলক কাজের সাথে আমি যুক্ত নই। আমি পেশাগত কাজের বাইরে বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে জড়িত। এতে একটি কুচক্রী মহল আমার উপর প্রতিহিংসা বসত এমন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার লিপ্ত রয়েছে। তারা তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অপরাধ করেছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই মামলা রুজু করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে বড়লেখার বিভিন্ন সম্মানী মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও কল্পকাহিনী জুড়ে পোস্ট করছে একটি চক্র। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় পৃথক লিখিত আবেদন ও জিডি করেছেন।
এরকম কিছু ঘটনার তদন্ত করছেন পুলিশের একজন উপ পরিদর্শক (এসআই)। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছু আইডির ব্যবহারকারীকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছি। আরও যাচাই-বাচাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন