সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের কাঠালকুড়ি কান্দি এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গোচারণ ভূমিতে চাষাবাদ করার অভিযোগ উঠেছে।
বিবরণে জানা যায়, কাঠালকুড়ি কান্দি নিবাসী মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে জালাল উদ্দিন সহকারী জজ আদালত, গোয়াইনঘাট, সিলেটে স্বত্ব মামলা নং-৬৪ দায়ের করেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিলেট-১ এ গোয়াইনঘাট থানা বিবিধ মামলা নং-১৮৮/২৫ এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, জেলা-সিলেট, থানা-গোয়াইনঘাট, মৌজা-কাঠালকুড়ি, জে.এল নং-২৪৯, হাল দাগ নং-১৯৬, এস.এ খতিয়ান নং-১, এস.এ দাগ নং-৫, বি.এস খতিয়ান নং-০১, বি.এস দাগ নং-১২, মোট ১৬২.১৪ একর গোচারণ ভূমিতে কোনো ধরনের পরিবর্তন বা চাষাবাদে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ প্রাপ্তির পরও মোশাহিদ, শাহ জাহান, মক্তার, আহসান উল্লা, হেলাল উদ্দিন, সোনা মিয়া, আলকাছ মিয়া, আনোয়ার, ইজ্জত আলী, মনফর আলী, শরিফ, কামাল, আফজল, আব্দুর রহিম, সাহাব উদ্দিন, আব্দুল কালাম, আরিফ, বিলাল, ফারুক, রবই মিয়াসহ একাধিক বিবাদী আদালতের আদেশ অমান্য করে উক্ত গোচারণ ভূমিতে চাষাবাদ ও ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করছেন।
এ বিষয়ে জালাল উদ্দিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের অনুলিপি নিয়ে গোয়াইনঘাট থানার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন। পরে তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সিলেটের মাননীয় পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত আবেদন করে আইনগত প্রতিকার কামনা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিপক্ষ আসান উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বর্তমানে ওইখানে বসবাসরত তিনশোটি পরিবার কৃষিকাজ করেন ওই জায়গায়। আর তাদের প্রতিপক্ষ তাদের নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য নাকি এই মামলা দায়ের করেছেন। তবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বলেন এই বিষয়ে তারা অবগত নন কিন্তু ওই জমি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
তবে এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার( ভূমি) অফিসার ওরম ফারুক কে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে সরকারি গোচারণ ভূমি রক্ষা ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মন্তব্য করুন