নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সিলেট মহানগর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য কাজী মেরাজের বাসায় তল্লাশী চালিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৪ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সুবিদবাজারস্থ ফাজিল চিশত এলাকা সাবেক ঐ ছাত্রদল নেতার বাসায় এই তল্লাশী চালানো হয়। অভিযানে কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও পুলিশ কর্তৃক বাসায় থাকা নারী ও বৃদ্ধের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ ও হুমকী-ধামকীর অভিযোগ উঠছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মদন মোহন বিশ^বিদ্যাল কলেজ সিলেট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী মেরাজ দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। দেশে থাকতে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। সম্প্রতি প্রবাসে গিয়েও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচারণায় সরব রয়েছেন। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ নিয়ে তার বাসায় একাধিক সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক হুমকী-ধামকীর ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফাজিল চিশত আবাসিক এলাকার ৫নং বাসার হোসেন মঞ্জিলে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও বাসার অবস্থানরত নারী ও বয়স্ক অভিভাবকদের হুমকী এবং পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে পুলিশ। গভীর রাতে পুলিশের এমন আচরণে পরিবারের সদস্যদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রদল নেতা কাজী মেরাজের বাবা কাজী আফিল উদ্দিন বলেন, গতকাল গভীর রাতে পুলিশ বাসার দরজায় এসে ডাকাডাকি শুরু করে। আমি তাদের দিনের বেলায় আসার অনুরোধ জানালে পুলিশ বাসার দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢোকার হুমকী দেয়। আমি ভয়ে দরজা খুলে দিতে বাধ্য হই। পুলিশ ঘরে প্রবেশ করেই আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। আমার ছেলে বিদেশে থাকে এরপরও আসার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায় তার বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি রয়েছে।
এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, কাজী মেরাজের বিরুদ্ধে একটি মামলায় আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাই পুলিশ অভিযানে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পেরেছে কাজী মেরাজ বিদেশে চলে গেছেন। আমরা সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেব।