স্টাফ রিপোর্টার::
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “কোন জরিপ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কীভাবে হয় এবং এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটিও বিবেচ্য বিষয়।”
বুধবার রাতে সিলেট জেলা ও মহানগর এনসিপির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে বুধবার রাজধানীতে ‘জনগণের নির্বাচন–ভাবনা’ শীর্ষক জরিপের দ্বিতীয় দফার দ্বিতীয় পর্বের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জরিপটি পরিচালনা করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন কনসাল্টিং, সহযোগিতা করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ভয়েস ফর রিফর্ম ও বিআরএআইএন। এতে ৪ হাজার ৭২১ জন উত্তরদাতা অংশ নেন। ফলাফলে দেখা যায়—৪১.৩০ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপিকে, ৩০.৩০ শতাংশ জামায়াতে ইসলামিকে এবং ৪.১০ শতাংশ এনসিপিকে পছন্দের দল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগকে পছন্দ করেছেন ১৮.৮ শতাংশ উত্তরদাতা। মার্চের তুলনায় সেপ্টেম্বরে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রায় ৫ শতাংশ বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, “আমি মানুষের কাছে যাচ্ছি, মানুষ আশা দিচ্ছে। শেখ হাসিনার ছবি মানুষ আনলেও তাতে থুথু দেবে। আওয়ামী লীগ ও দোসররা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।”
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চলমান আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগামীতে নির্বাচন বা যেকোনো বিষয়ে সক্রিয় থাকতে আমাদের সমমনা দলগুলোর একত্রিত হওয়া খুব জরুরি।”
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে সফররত এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা তাদের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। যারা প্রতিনিধিদের বিব্রত করেছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি সিলেট জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন