নিজস্ব প্রতিবেদক::
সিলেটের জকিগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে তদন্ত। পুলিশ নিহতের শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনকে আটক করেছে। তিনি উপজেলার ঘেচুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
নিখোঁজের তিন দিন পর গত বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে শায়লা স্মৃতি হাসপাতালের পেছনের একটি ধানক্ষেত থেকে নোমান উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। নিহত নোমান কালিগঞ্জ বাজারে মুদি দোকান চালাতেন। দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দুই বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে তিনি ব্যবসা শুরু করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রাথমিক পর্যায়ে নিহতের স্ত্রী, দুই মেয়ে, শ্যালকসহ অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসব জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হানিফ আহমদ সুমনকে থানায় এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার দাবি করে তাকে আটক দেখানো হয় এবং পরবর্তীতে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাদের অভিযোগ, নোমানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, শ্যালক সুমনসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার পর নিহতের পরিবারের আচরণ ছিল সন্দেহজনক। সিসি ক্যামেরা সরিয়ে ফেলা এবং লাশ উদ্ধারের সময় পরিবারের কাউকে থানায় না দেখা যাওয়ায় সন্দেহ আরও বেড়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত হানিফ আহমদ সুমনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন