ছাতক; সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট বিওপি’র সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ এর পুশইন করা ১৭ জনকে মানবিক সহায়তা দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় আশ্রায়ন কেন্দ্রে থাকা ১৭ জনকে দেখতে যান তিনি। এসময় তাদের সবার মাঝে পরিধানের পোশাক, খাদ্য, ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করা হয় । এসব মালামাল পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আটককৃত পরিবারের সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট থানার কুলিয়াঘাট গ্রামের শামসুল আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩৫), তার স্ত্রী আরজিনা বেগম(২৮), ছেলে জাহিদ হাসান(১০), জাহিদুল ইসলাম(৬), মেয়ে ফৈরদৌসী(৪)। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার গোগারকুটি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সুজন আলী(২৫) তার স্ত্রী ফজলে বেগম(২৩), ভাই শরীফুল ইসলাম(১৮), ছেলে ইব্রাহিম(১.৫), মেয়ে সুমাইয়া(৫)। একই জেলার নাগেশ্বরী থানার দেওয়ানীটাড়ী গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে মহুবর আলী(৩০) তার স্ত্রী মনিরা বেগম(২২), মেয়ে মোর্শেদা খাতুন(৯), ছেলে মীর হোসেন(৩)। একই থানার মাস্টার পাড়া গ্রামের গোবিন্দ এর ছেলে মিঠুন চন্দ্র(২৪), তার স্ত্রী দীপ্তি (২২), মেয়ে তুলসী(২)।
জানা যায়, ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াকোট বিওপি’র সীমান্ত দিয়ে ৪ টি পরিবারের শিশুসহ ১৭জনকে পুশইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল সদস্যরা আটক করে।
গত ১২জুন দুপুরে ছাতক থানায় তাদের হস্তান্তর করে বিজিবি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নে আমেরতল গ্রামের জাহান আরা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ নিরাপত্তায় ১৭জনের থাকা খাওয়ার জন্য আশ্রয়ন কেন্দ্রে ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়া আটককৃতদের জন্য পরিধানের পোশাক, খাদ্য, ঔষধ সহ মৌলিক চাহিদা মেটাতে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে রাখা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৫জন পুরুষ, ৪জন নারী এবং ৮জন শিশু রয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক এবং অধিকাংশই দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করেছিল।
তারা বিভিন্ন রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, গৃহকর্মীসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত ছিলেন।
এব্যপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুশইন করা ১৭জনকে দুপুরে ছাতক থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। গত বৃস্পতিবার বিকালে তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ ২৪ঘন্টা কাজ করবে।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, পুশইন করা ১৭জনের থাকা, খাওয়া, পোশাক, চিকিৎসার ব্যবস্থা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদেরকে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন