নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশের মতো সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শুরু হয়েছে বই উৎসব। নতুন বই পেয়ে আনন্দ-উল্লাস ভাসছে শিক্ষার্থীরা। সিলেট নগর ও জেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রোববার সকালে উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)র উদ্যোগে সিলেটে সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ লক্ষ নতুন বই দেওয়া হবে। এর আগে গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
সিলেট প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়- শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছে।
গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়, “২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই বিতরণের জন্য ১ জানুয়ারি ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩’ অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু, সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কিছু বই এখনো বাকি আছে, যা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে বলে আমরা আশা করছি। দেশের সব উপজেলায়ই বই পৌঁছানো হয়েছে। সব শিক্ষার্থীর হাতেই নতুন বই তুলে দেওয়া হবে। সাধারণত প্রথম দিনেই সবাই স্কুলে আসে না। তাই যারা আসবে তাদের সবাই বই পাবে। কাগজ সংকটের মধ্যেও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, যত বেশি সম্ভব বই স্কুলে পৌঁছানোর। আর এতে সকলেই আন্তরিক ছিলেন।
সিলেট প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে ৫ হাজার ৫৮টি, শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫টি, কেজিসহ অন্যান্য ২ হাজার ৭ শত ১৮টি স্কুল রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৭১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮ শত ৭৬ কপি।