সুনামগঞ্জ তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি এলাকায় এক শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরী (২০) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আলম মিয়াকে (৪০) সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার জঙ্গলবাড়ি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের ছেলে, বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক।
ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে কিশোরীর বাড়িতে কেউ না থাকায় সে একা ছিল। সেই সুযোগে প্রতিবেশী আলম মিয়া পূর্বপরিচয়ের সুযোগ নিয়ে কিশোরীর বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিশোরীর বাবা-মা সেসময় পাশের গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন।
পরিবারের দাবি, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও পাতিনেতারা অভিযুক্তকে বাঁচাতে চাপ সৃষ্টি করছেন এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
ভুক্তভোগীর মামা মোর্শেদ আলম সাদ্দাম বলেন, “আমার বোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, ফলে বাড়িতে একা ছিল আমার শারীরিক প্রতিবন্ধী ভাগ্নী। সেই সুযোগে আলম মিয়া ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। পরে আমরা থানায় অভিযোগ করি এবং আজ পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ঘটনার পর এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আমাদের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা চাই, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবার থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন