টুডে সিলেট ডেস্ক
প্রকাশ : Jun 23, 2025 ইং
অনলাইন সংস্করণ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় সন্ত্রাসী ধরতে সেনাবাহিনীর অভিযান, নিহত ১



সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুর উপজেলার একটি গ্রামে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনীর অভিযানকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া। নিহত ব্যক্তির নাম আবু সাঈদ (৩১)। তিনি দিরাই উপজেলার তারপাশা গ্রামের তাজ মিয়ার ছেলে। 

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগের নেতা একরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে দুইদিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা চলছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে গত শুক্রবার পাল্টপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। 

রোববার বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি দল অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে ওই গ্রামে অভিযান চালায়। খবর পেয়ে হাতিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা নৌকায় করে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে ওই গ্রামে ঘেরাও দিলে সেখানে আশ্রয় নেয়া সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ সময় সেনাবাহিনী গুলি চালায়। পরে ওই এলাকায় আবু সাঈদের লাশ পাওয়া যায়।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁঞা বলেন, ঘটনার বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তবে এতটুকু বলতে পারি গুলিবিদ্ধ এক রাজমিস্ত্রি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনি কার গুলিতে নিহত হয়েছেন সেটা বলা সম্ভব নয়।

সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, গত ২০ জুন দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা একরার আহমেদের লোকজনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং একজন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও একরার আহমেদ ও তার অনুসারীরা প্রায়ই বর্ণিত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিল। 

 গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ থেকে রোববার (২২ জুন) তারিখে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অস্ত্রধারীদের ধরতে হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। বিকেলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখে এক পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীও গুলি চালায়। পরবর্তীতে একরার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে শুরু করে। টহল দল ওই স্থানে গিয়ে একজনের মরদেহ দেখতে পায়। এই ব্যক্তি কার গুলিতে মারা গেছেন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুক্তমত প্রকাশ–সংক্রান্ত ও গায়েবি মামলা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্

1

জগন্নাথপুরে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, হাসপাতালে খালেদ মিয়ার মৃত্যু

2

ইরানে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

3

হাওরে বোরো ধান কাটার উৎসব, হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

4

জগন্নাথপুরে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের প্রশিক্ষণ উদ্যোগ

5

পঞ্চাশ বছরের আইনি লড়াইয়ের অবসান: পৈতৃক জমি ফিরে পেলেন প্রবাস

6

জুড়ীতে নিসচা'র সড়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

7

আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, এ যেন আরেক ‘জু

8

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিয়া হত্যা: ১৮ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার আসাম

9

সিলেট নগরীতে ট্রাকের ধাক্কায় নারী চিকিৎসকের মৃ ত্যু

10

সিলেটে পাঁচ ভাই ও পানসি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

11

কুরবানির পশু নির্বাচনে যেসব ভুল করা যাবে না

12

সুনামগঞ্জে গ্লোবাল টিভির ৩য় বর্ষপূতি পালিত

13

১২ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির আভাস

14

দোয়ারাবাজারে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ন

15

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান ডিআরইউয়ের

16

কুরবান নগর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

17

শাল্লা মৎস্য অফিসেই সহকারীর ঝুলন্ত লাশ উ দ্ধার

18

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

19

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত বেড়েছে ৩৩ গুণ

20