
সিলেট-২ (ওসমানীনগর–বিশ্বনাথ) সংসীয় আসনে ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর পরিবারের দুই সদস্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তন্মধ্যে ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনা বিএনপির মনোনিত প্রার্থী হিসেবে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জমা দিয়েছেন পুত্র আবরার ইলিয়াস।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেটে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মা ছেলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনেও এই আসন থেকে তাহসিনা রুশদীর লুনা ও আবরার ইলিয়াস মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
সেবারও বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হরেছিল লুনাকে। তবে উচ্চ আদালত থেকে তার মনোনয়ন স্থগিত করায় লুনা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। পরে এই আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধিন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী করা হয় গণফরোমের মোকাব্বির খানকে। তিনি নির্বাচিতও হন।
প্রসঙ্গত, লুনার স্বামী ও আবরারের বাবা এম ইলিয়াস আলী ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার ডিএসও এলাকা থেকে মধ্যরাতে তিনি ও তার গাড়িচালক আনসার আলী নিখোঁজ হন।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়ন বাছাই কার্যক্রম চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, যা নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২১ জানুয়ারি।
আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারণা, যা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।