
নাজমুল হোসেন শান্তের শুরুটা ধীর হলেও তিনি ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। প্রথম ৮ বলে মাত্র ২ রান করার পর ষষ্ঠ ওভারে সাইম আইয়ুবকে টানা তিনটি চার মেরে খেলায় নিজের ছন্দ ধরে নেন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত এই ছন্দ বজায় রাখেন তিনি। শেষ ওভারের এক বলেই হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের মিস ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে শান্ত ডাবলসেঞ্চুরি সম্পন্ন করেন।
দুই উইকেট হাতে রেখে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের মুশফিকুর রহিমও ব্যাট হাতে সাবলীল থাকেন। শান্ত ৬০ বলে ১০১ রান এবং মুশফিক ৩১ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। তারা ৭১ বলে ১৩০ রান যোগ করে দলকে ১৯১ রানের লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে নেন। শেষ পর্যন্ত রাজশাহী ১৯.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৯২ রান করে সিলেট টাইটান্সকে পরাজিত করে।
লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী প্রথম ৫ ওভারে ৩০ রান তোলার মধ্যে পড়ে, তানজিদ হাসানের উইকেট হারানোর বিনিময়ে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে শান্ত টানা তিনটি চার মেরে ইনিংসে গতি আনে। অষ্টম ওভারে তিনি শাহিবজাদা ফারহানকে আউট করার আগে একটি করে ছয় ও চার মেরে ম্যাচে প্রভাব দেখান। ১২তম ওভারে শান্ত ৩৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন। পরবর্তী তিন ওভারে তিনি ও মুশফিকুর ৪৪ রান যোগ করেন।
শেষ ওভারের প্রথম বলেই শান্ত ৫৮ বল খেলে ১০ চার ও ৫ ছয়ে বিপিএলে তার দ্বিতীয় শতক তুলে নেন। মুশফিকুর রহিমও হাফসেঞ্চুরি সহ ম্যাচ জেতানো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।সিলেট টাইটান্স পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের কারণে ৫ উইকেটে ১৯০ রান সংগ্রহ করে। পাওয়ার প্লেতে সাইম আইয়ুব দারুণ শুরু করেন, কিন্তু ১৫ বল খেলে ২৮ রান করে আউট হন। আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই (২০) বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
ইমন ২৫ বলে ৩৬ রান করেন। আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৪১ বলের ৮৬ রানের জুটি গড়ে ইনিংস এগিয়ে নেন। ইমন ২৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন। আফিফ ১৯ বলে ৩৩ রান করেন এবং শেষ পর্যন্ত ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
সন্দীপ লামিচানে ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন। এছাড়া বিনুরা ফার্নান্ডো ও তানজিম হাসান সাকিব একজন করে উইকেট নেন।