
একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও ইতিহাসের সেরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সিলেটের পুলিশ সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন সিলেটের নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) আখতার উল আলম। সোমবার সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এ দৃঢ়তার কথা জানান তিনি।পুলিশ সুপার বলেন, সিলেট সীমান্তবর্তী এলাকা। ভারতের ৬টি থানা সিলেটের সাথে কানেকটেড। তাই এখানে মাদক ও চোরাচালানের দৌরাত্মও আছে। এক্ষেত্রে সিলেট জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করবে।তিনি বলেন, সিলেট জেলা পুলিশের আরো দুটি চ্যালেঞ্জ আছে। একটি হলো- সাইবার অপরাধ বা সাইবার প্রতারণা। আরেকটি হলো- কিশোর গ্যাং। কিশোর গ্যাংও সারাদেশে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি সিলেটে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম বন্ধ করতে চাই।গত ২৯ নভেম্বর সিলেট জেলার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন কাজী আখতার উল আলম। এরআগে ২৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (পুলিশ-১ শাখা) জাকি করা প্রজ্ঞাপনে আখতার উল আলমকে সিলেটের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। নির্বাচনের আগে এই বদলিকে অনেকে নির্বাচনকালীন পদায়ন বলছেন।
সিলেটে যোগ দেওয়ার পর সোমবার প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সাাথে মতবিনিময় করেন নতুন এই পুলিশ সুপার। এসময় সাংবাদিকরাও সিলেটের বিভিন্ন ইস্যুতে নিজেদের মতামত দেন ও পুলিশ সুপারকে প্রশ্ন করেন। সিলেটে প্রবাসীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, সিলেট প্রবাসীবহুল এলাকা। আমার প্রথম প্রায়োরিটিতেই থাকবে প্রবাসী যারা আছেন, তাদের দেশ সফর নিরপদ রাখতে।
তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ্এবার বেটার নির্বাচন করার কথা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। নির্বাচন যাতে অবাধ হতে পারে, জনগন যাতে আস্থাশীল থাকে, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো তাকে এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতায় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় অকালেই অনেক প্রাণ ঝরে যায়। এ ব্যাপারে আমরা সচেতনামূলক কার্যক্রম চালাবো। চালকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সচেতন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে। তিনি বলেন, কোন সাংবাদিক যদি হয়রানি মামলার শিকার হন, তদন্তে তার অপরাধ প্রমাণ না পেলে নাম বাদ দেওয়া হবে পুলিশ সুপার জানান, জেলায় চেকপোস্টের পরিমাণ বাড়ানো হবে। এখন ৩০টি চেকপোস্ট রয়েছে। এছাড়া ৪৬টি মোবাইল টিম মহাসড়কের লিংক রোডে টহলে আছে।