
সাহেবেরবাজারে পুলিশের ওপর তাণ্ডব: সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে আসামি ছিনতাই...
শাহান আহমেদ চৌধুরী ::
শহরতলীর খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেবেরবাজারে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা ডেভিল মতিন খাঁ’কে গ্রেফতার করতে গিয়ে এয়ারপোর্ট থানার ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশের বহনকৃত একটি সিএনজি অটোরিকশাও ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর দেড় টার দিকে এসএমপি এয়ারপোর্ট থানার সাহেবেরবাজারের পাঠানগাঁও এলাকায় আসামি মতিন খাঁ’র বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যদের সিলেট ওসামনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গতকাল শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে আহত পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আহতরা হলেন- এয়ারপোর্ট থানার এসআই বিধান কুমার দেব, এএসআই ফেরদৌস, এএসআই শওকত, কনেষ্টবল আবু বক্কর সিদ্দিক ও কনেষ্টবল আব্দুর রহিম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা মতিন খাঁকে গ্রেফতার করতে গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরতলীর সাহেবেরবাজারের পাঠানগাঁও এলাকায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তকর্তার নির্দেশে এয়ারপোর্ট থানার এসআই বিধান কুমার দেবের নেতৃত্বে পুলিশের ৫ সদস্যের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় মামলার আসামি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা মতিন খাঁকে গ্রেফতার করলে আসামির সহযোগী বাহিনী ‘মব’ সৃষ্টি করে পুলিশের উক্ত ৫ পুলিশ সদস্যদের দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে এবং মারধর করে পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন মতিন খাঁ’র বাহিনীর লোকজন পুলিশের বহনকৃত একটি সিএনজি অটোরিকশাও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভাংচুর করে। এসময় প্রাণ রক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা চলে আসতে সক্ষম হয়। পরে আহত এয়ারপোর্ট থানার এসআই বিধান কুমার দেব, এএসআই ফেরদৌস, এএসআই শওকত, কনেষ্টবল আবু বক্কর সিদ্দিক ও কনেষ্টবল আব্দুর রহিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানার এসআই বিধান কুমার দেব বলেন- শনিবার দুপুরে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি মতিন খাঁকে গ্রেফতার করতে সাহেবেরবাজারের পাঠানগাঁও এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় আসামি মতিন খাঁ’র লোকজন ‘মব’ সৃষ্টি করে আমিসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে মারধরে আহত করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় মতিন খাঁ’র লোকজন তখন আমাদের বহনকৃত একটি সিএনজি অটোরিকশাকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে ভাংচুর করে। পুলিশের কাজে বাঁধা ও পুলিশদের আহত হওয়ার অপরাধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন- এ ঘটনায় পুলিশ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে এসএমপি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।