
চোরাচালানি বাণিজ্যের টাকার বিরোধে দুই গ্রামের সংঘর্ষে নিহত চুনাপাথর ব্যবসায়ী মানিক মিয়া; প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে চোরাচালানি টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত চুনাপাথর ব্যবসায়ী মানিক মিয়া (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত রবিবার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নিহত মানিক মিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের মৃত জগম্বর আলীর ছেলে। তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে চোরাচালানি বাণিজ্য। এই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে সম্প্রতি বনগাঁও গ্রামের ফজলুল করিম ও লুভিয়া গ্রামের কামরুল ইসলামের মধ্যে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
গত ৩০ অক্টোবর রাতে দুই পক্ষের তর্কাতর্কি সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন। এসময় বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর হয়, স্থানীয় একটি সেতুতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গুরুতর আহত মানিক মিয়াকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৬ জনকে আটক করে। নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম ছাতক থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, “মামলা হয়েছে, ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মানিক মিয়ার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা সীমান্ত এলাকায় অবৈধ চোরাচালানি বন্ধে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দাবি করেছেন।