সুনামগঞ্জে আলোচিত জমিয়ত নেতা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী’র হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল হাফিজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাফিজ শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপুর গ্রামের আলিফ পাঠানের ছেলে। সে জমিয়ত নেতা সৈয়দ তালহা আলমের অনুসারি ও একই গ্রুপের শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, ২ সেপ্টম্বর রাতে জমিয়ত নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ নিখোঁজ হন। নিখোঁজের তিন দিন পর দিরাই উপজেলার শরীফপুর গ্রামে মরা সুরমা নদী থেকে মুশতাকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার অভিযোগে জমিয়ত নেতা আব্দুল হাফিজকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩- ৪ জনকে আসামি করে ৭ সেপ্টম্বর দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী রুবি বেগমম এরপ্রেক্ষিতে সোমবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে সিলেট টিলাঘর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাফিজকে বিকেল ৪ টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ আমলগ্রহণকারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন আদালতের বিচারক এসএম শাফায়াত ছালাম।
এদিকে আব্দুল হাফিজকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর থেকে আদালত প্রাঙ্গনে জড়ো হন জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা। এসময় তারা মুশতাক হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাফিজকে আদালতে নিয়ে আসার সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা আসামিকে উদ্দেশ্য করে ডিম ও বোতল ছুড়েন। পরবর্তিতে নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাওলাসা মুশতাক আহমদের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এজহারভুক্ত আসামি আব্দুল হাফিজকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পরবর্তিতে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
পুলিশের সুনামগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক মো. আকবর হোসেন বলেন, মাওলানা মুস্তাক আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় গ্রেফতারকৃত আব্দুল হাফিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ৭ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করেছেন। আদালত আগামী বুধবার(১০ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।