তীব্র সমালোচনার মুখে আলী আমজদের ঘড়িঘর চত্বর থেকে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সিলেটের কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকদের সাথে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো।
বৈঠক শেষে তিনি জানান, জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের বাইরে স্থানান্তর সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, নতুন জায়গা নির্ধারণ করে এটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
শামসুল বাসিত শেরো জানান, জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের আহবানে মঙ্গলবারের বৈঠকে সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শহীদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও যারা স্মৃতিস্তম্ভটি আলাদা জায়গায় স্থাপনের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলেন তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, পরিবেশকর্মী আবদুল করিম কিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটের ১৫১ বছরের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরে ভেতরে জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার অংশবিশেষ আড়াল করে স্মৃতিফলক নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা দেখা দেয়।