বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে পুলিশের গুলীতে শাহাদাতবরণকারী শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবের কবর জিয়ার করেছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে জামায়াত কেন্দ্রঘোষিত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৯ দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিয়ানীবাজারে গিয়ে শহীদ সাংবাদিক তুরাবের কবর জিয়ারতে যান তারা।
কবর জিয়ারত শেষে জামায়াত নেতৃবৃন্দ শহীদ তুরাবের বাড়ীতে গিয়ে তাঁর পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং তাঁর শাহাদাত কবুলিয়াত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে জিয়ারতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জাহেদুর রহমান চৌধুরী, মহানগরীর কোতোয়ালী পশ্চিম থানার আমীর মু. আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর সেক্রেটারী শহীদুল ইসলাম সাজু এবং শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মোঃ আজরফ (জাবুর)। এছাড়াও এসময় বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকালে সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই পুলিশ সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে দৈনিক নয়া দিগন্তের তৎকালিন সিলেট ব্যুরো প্রধান ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার এটিএম তুরাবকে গুলী করে হত্যা করে। শহীদ সাংবাদিক তুরাব আমৃত্যু সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ছিলো। সে ছিল অনুসন্ধানী সাংবাদিক। শহীদ তুরাবসহ জুলাই-আগস্ট আগস্টের গণহত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে। ইনশাআল্লাহ।