নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা তিনদিন রোদের পর সোমবার সকালে সিলেটে ফের বৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েকটি এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত কুশিয়ারা নদীর পানি সোমবার কিছুটা বেড়েছে।
আবহাওয়াবিদ সজীব হোসাইন জানান, রোববার সকাল ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃ্ষ্টি হয়। তবে সোমবার সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সুরমা নদী ও কুশিয়ারা নদীর চার পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
চারটি পয়েন্টের মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপরে, কুশিয়ারা নদীর আমলসিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃষ্টিতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার পানি বেড়েছে। তবে সুরমা নদীর অববাহিকায় পানি কমেছে। যদিও পানি কমার গতি খুবই শ্লথ।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, হাওরসহ সিলেটের নিচু এলাকা এখনো পানিতে পরিপূর্ণ। অন্যদিকে মৌলভীবাজারের জুড়ী ও মনু নদের পানি সিলেটের কুশিয়ারা নদীতে যুক্ত হচ্ছে। তাই নদীর পানি নামছে ধীরগতিতে। সোমবার বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় পানি বেড়েছেও।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও আবহাওয়া অফিসসূত্রে জানা জানা যায়, ২৮ জুন থেকে সিলেটে অতিভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এজন্য আগাম সতর্ক থাকতে বলেছে সিলেট জেলা প্রশাসন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানিয়েছেন, এখনো জেলায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ লোক পানি বন্দি অবস্থায় আছেন। এরমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন।