নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যা মামলায় দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন- ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার কালিগচ্ছ (ধরন্তি) মৃত জামাল ভূঁইয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমি (২০) এবং সিলেট নগরীর সাগরদিঘীরপাড় এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে তাহমিদ আহমদ (২৬)। তারা সিলেট নগরীর আরামবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া।
বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে বলেন, সুমাইয়া আক্তার সুমি ও তাহমিদ আহমদকে মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। সন্ধ্যায় আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এরআগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ থেকে আব্দুল মুকিতের ছেলে ফয়ছল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ফয়ছলের বিরুদ্ধে চুরি ছিনতাই ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তিনি কারাগারে রয়েছেন।
২৫ এপ্রিল রাত আড়াইটায় নগরীর এয়ারপোর্ট থানার শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা বাগান সংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। দুই সন্তানের জনক অমিত সপরিবারে নগরীর কানিশাইল এলাকায় বসবাস করতেন।
এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস (৪২) বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।