নিজস্ব প্রতিবেদক : ভিসি, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিমেবি) বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে সিলেট নগরের চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে গিয়ে জড়ো হন কর্মকর্তা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সেকশন অফিসার আশরাফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রহমত আলী, কাজি মাসুদ, কর্মচারীদের মধ্যে আহসান উদ্দিন, মুহাজিরুল ইসলাম, নুরুল আমীন চৌধুরী, এনাম আহমদ, আব্দুস সামাদ চৌধুরী, তিলোত্তমা দাশ, তারেক হাসান ও মনি আক্তার।
বক্তারা বলেন, সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চোখের ডাক্তার প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন ও ট্রেজারার শাহ আলম ও রেজিস্ট্রার (এ্যাডহেক) আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান পদত্যাগ না করে উল্টো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। আমরা তাদের পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তারা পদত্যাগ করেন নি। তাই অনতিবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যথায় আমরা অভিভাবক ও সিলেটবাসীকে সাথে নিয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
বক্তারা আরোও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে অধিভূক্ত কলেজসমূহের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার ভিসি এবং রেজিস্ট্রারের। ভতিষ্যতে অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন এবং পরীক্ষা কার্যক্রম ভিসি এবং রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তাঁরা শিক্ষার্থীদের নিজ স্বার্থে এবং স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ভিসি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। এর আগে, গত সেমবার (১২ আগস্ট) ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় রোববার তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে (এ্যাডহেক) ভিত্তিতে রেজিস্ট্রার পদে আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান নিয়োগ পান। এরপর থেকেই নানা অনিয়ম শুরু করেন। তাঁর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তবুও ক্ষমতার দাপট ও ভিসির একচ্ছত্র মদদে তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাঁর ভয়ে তটস্থ ছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি তাঁর পছন্দের কয়েজন কর্মকর্তাকে দিয়ে আলাদা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। এই সিন্ডিকেট দিয়েই নানা অপকর্ম করাতেন তিনি। তাঁকে মদদ দিতেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এনায়েত হোসেন। এজন্যই পদত্যাগ দাবি করছেন। তাঁরা এই নৈরাজ্যের অবসান চান।