সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এক সংক্ষিপ্ত মিছিল করে দলটি। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পথসভায় মিলিত হয়।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় আয়োজিত গণমিছিল পূর্বের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দেশের ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে একটি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারা শান্তিপ্রিয় এই দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। স্বৈরাচারী সরকার অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করে ১৭ বছরে দেশের আইন-বিচার ও অর্থনীতিসহ সকল বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পর সিলেটে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় নি। একটি চক্র অর্থাৎ পতিত যে সরকার তাদের লোকেরাই পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ঘটনার নাটক সাজিয়ে তারা এটাকে প্রচার করছে।
চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। এই দেশ আমাদের সবার একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল দেশের বিরুদ্ধে আবারও গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে সেই ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবন্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের যে ক্ষতি সাধিত করেছে তা পুরোন করতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরো সু-সংগঠিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
সমাবেশে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, দেশের মানুষ আজ শান্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছে। বিগত ১৭ বছর মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছি যা ফিরে পেতে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে করতে হয়েছে। আমাদের সবাইকে আন্তরিক সহিত কাজ করতে হবে দেশকে সমৃদ্ধশীল করে গড়ে তুলতে।
এরআগে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের বিচারের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এতে বলা হয়, আগামী ১৪ ও ১৫ আগষ্ট সারা দেশে বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ের