ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইসিটি
  4. আজকের গুরুত্বপূর্ণ
  5. আন্তর্জাতিক
  6. উপজেলার সংবাদ
  7. ওপার বাংলা
  8. খেলার খবর
  9. গ্যাজেট
  10. চাকরির খবর
  11. চাকরির খোঁজ
  12. জাতীয়
  13. দুর্ঘটনা
  14. ধর্ম পাতা
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেনা ৮২ শতাংশ চা শ্রমিক

Today Sylhet24
জানুয়ারি ১৪, ২০২৫ ৪:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের ১৬৯টি চা বাগানের মধ্যে সিলেটেই রয়েছে ১৩৫টি। তবে সিলেটের এসব চা বাগানের ৮২ শতাংশ শ্রমিক বিশুদ্ধ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে এক জরিপে জানা গেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফামের অর্থায়নে এথনিক কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (একডো) আয়োজনে ‘লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট অব টি লেবার ওমেন ওয়ার্কার অন দেয়ার রাইটস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।

নারী চা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তাদের নেতৃত্বের বিকাশের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খুশনূর রোবায়েত। একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে বৈঠকের মডারেটর ছিলেন অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, লাক্কাতুরা চা বাগানের অ্যাসিসেন্ট ম্যানেজার নূর মোহাম্মাদ ফারুকি সিয়াম।
বৈঠকের শুরুতেই সিলেটের চা বাগানের চিত্র তুলে ধরেন একডোর প্রকল্প সমন্বয়ক মোমতাহিনুর রহমান চৌধুরী।

তিনি জানান, সিলেটের দলদলি, কেওয়াছড়া ও হিলুয়াছড়া চা বাগানে একডো একটি জরিপ করে। জরিপে দেখা যায়, এ তিনটি বাগানে ৮৯০ পরিবার রয়েছে। জনসংখ্যা আছে ৫ হাজার ৬০০ জন। এর মধ্যে নারী শ্রমিক আছেন ১ হাজার ৫০৯ জন। এ তিন বাগানের ৪২ শতাংশ শিশু স্কুলে যাচ্ছে না। ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করছে এবং তিন শতাংশ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে। চা বাগানের ৮২ শতাংশ শ্রমিক বিশুদ্ধ পানির সুবিধা পান না। বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন চা শ্রমিক জরিপের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

চা শ্রমিক সুমি নায়েক বলেন, ‘তিন বাগানের জরিপে যে তথ্য পাওয়া গেছে, সেটা সিলেটের সব চা বাগানের চিত্র। চা বাগনে নারী শ্রমিকই বেশি। কিন্তু আমরা চিকিৎসা, স্যানিটেশনের কোনো সুবিধা পাই না। পর্যাপ্ত মজুরি না পাওয়ার কারণে অনেক নিম্নমানের এবং কম পরিমাণে খাবার খেতে হয়। চা বাগানে কোনো সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই, তাই আমাদের বাচ্চারা পড়ালেখা বিমুখ। আবার আমাদের এই সামর্থ্য নেই বাচ্চাদের বাগানের বাইরে পড়ালেখা করানোর।’

চা শ্রমিক নেতা দিলীপ রঞ্জন কুর্মী বলেন, ‘চা বাগানের সব সমস্যার সঙ্গে আরেকটি নতুন সমস্যা হলো মাদকের সমস্যা। আমাদের এই মাদক সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। এখন বহিরাগতরা মাদক নেওয়ার জন্য বাগানে ঢুকে অরাজকতা করে।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।