আগামী বছর ঢাকায় দূতাবাস কিংবা কনস্যুলেটসেবা চালু করতে পারে ইউরোপীয় দেশ পর্তুগাল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পওলো রেঞ্জেল এমন আশ্বাস দিয়েছেন।
লিসবন সফররত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা বলেন, আমারা আশা করছি, আগামী বছর শুরুর মাঝে দূতাবাস, কনস্যুলেট কিংবা পর্তুগালের ভিসা সংক্রান্ত ঢাকায় একটি অফিস চালু যেন করা হয় এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন পর্তুগাল সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে শনিবার থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের দশম অ্যালায়েন্স অব সিভিলাইজেশনস (ইউএনএওসি) গ্লোবাল ফোরামের সম্মেলন। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মো. তৌহিদ হোসেন।
লিসবন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপদেষ্টা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। পরে তিনি এক মুক্ত আলোচনায় প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
মতবিনিময় সভায় বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশে পর্তুগালের স্থায়ী বা অস্থায়ী দূতাবাস কিংবা কনস্যুলেট স্থাপনের বিষয়টি। পর্তুগালে প্রায় ৪০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি বর্তমানে বসবাস করছেন। কিন্তু বাংলাদেশে পর্তুগালের কোনো দূতাবাস কিংবা কনস্যুলেট না থাকার ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানান হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার ফলে উপদেষ্টার কাছে সবার দাবি ছিল, খুব তাড়াতাড়ি যেন বাংলাদেশিদের জন্য বাংলাদেশের ঢাকায় একটি স্হায়ী কিংবা অস্থায়ী বিএফএস বা দূতাবাস চালু করা হয়।
পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পওলো রেঞ্জেলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পওলো রেঞ্জেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়গুলো তিনি অবগত আছেন বলে জানান। সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পর্তুগাল সরকার বাংলাদেশিদের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছে এই বিষয়ে অবহিত করেন।
উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থসামাজিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরে ঢাকায় দূতাবাস না হয় একটি ভিসা অফিস চালুর করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।