নিজস্ব প্রতিবেদক : দাবদাহে পুড়ছে সারাদেশ। তীব্র তাপে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এরই মধ্যে সিলেটে নামলো বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া। এতে জনজীবনে নেমে এলো স্বস্তি।শুক্রবার রাত ১১টা থেকে সিলেটে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। শনিবার ভোররাতেও থেমে থেমে হয় বৃষ্টি।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে ২৪ ঘন্টায় ৮৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
এদিকে সিলেটে এমন স্বস্তির মাঝে দেশের অন্য অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল শনিবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৭ দশমিক চার ডিগ্রি।
এছাড়া শনিবার যশোরে ৪১ দশমিক ৬, রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮, রাঙ্গামাটিতে ৩৯ দশমিক ৫, সাতক্ষীরায় ৩৯ দশমিক ৩, খুলনার কয়রায় ৩৯ দশমিক ২, বাগেরহাটের মোংলায় ৩৯ দশমিক ১ এবং খুলনায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সিলেটে শনিবার ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, সিলেটে ছাড়া অন্য অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও তিন দিন এ রকমই থাকবে। পরশু কিছুটা বাড়তে পারে। তারপর ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
তিনি বলেন, ২ মে থেকে দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হবে। এই সময় ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩-৪ মে থেকে আশা করা যায়, প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। ফলে তাপমাত্রা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।’
বজলুর রশিদ বলেন, এপ্রিল আমাদের উষ্ণতম মাস। মে মাসেও দেখা যায়, মাঝে মাঝে তাপপ্রবাহ আসে। যেহেতু মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, সাধারণত এই বৃষ্টি তিন থেকে পাঁচ দিন হয়। বৃষ্টি শেষ হয়ে গেছে আবার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে দেশের অনেক জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের এবং কোনো কোনো জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে তীব্র তাপপ্রবাহ আসতে পারে। যেহেতু মে মাসে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে, অনেক সময় দেখে যায়, তাপপ্রবাহ না থাকলেও গরম অনুভূত হবে।
বজলুর রশিদ আরও বলেন, এপ্রিলে যে রকম টানা তাপপ্রবাহ ছিল, হয়তো মে মাসে সে রকম থাকবে না। চার-পাঁচ দিন তাপপ্রবাহ থাকলে তারপর আবার বৃষ্টি হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক কারণে রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেশি থাকে। এই জায়গাগুলো দিয়ে ওয়েভ আকারে তাপ প্রবেশ করে। ভারতের গুজরাট, মধ্য প্রদেশ মরু এলাকা হওয়ায় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে বাংলাদেশের মধ্য ভাগ দিয়ে প্রবেশ করে। এই জেলাগুলোকে প্রবেশদ্বার বলা যায়।’