সিলেট মহানগর বিএনপির ১১নং ওয়ার্ড শাখার সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান মন্তাজ মিয়া দীর্ঘ দিন কারাগারে বন্দী থাকার পর সোমবার (১৮ই মার্চ) বিকাল ৫টার সময় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কারা ফটকে ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিএনপির এই নেতাকে বরণ করে নেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জেলগেটে এক প্রতিক্রিয়ায় মাহবুবুর রহমান মন্তাজ মিয়া বলেন, হামলা, মামলা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি থেকে বিচ্যুত করা যাবে না। বিগত একতরফা নির্বাচনে কেউ যায়নি, জনগন নির্বাচন বর্জন করেছে। তিনি কারাগারে আটক সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। বিশেষ করে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসানকে আদালত সকল মামলায় জামিন দিলেও ভিন্ন একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার জামিন দেওয়া হয়নি, আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শেখ কবির আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোঃ তায়েফ, সহ সভাপতি জাহিদ খান গুলসান, বিএনপি নেতা মালেক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদস্য সাহেদ আহমদ, বিএনপি নেতা কয়েস আহমদ, ইনতাজ আহমদ, সেলিম আহমদ, আরিফ চৌধুরী মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ইছহাক আহমদ, এনামুল কবির, জেলা ছাত্রদল সহ সভাপতি কামরান আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক সামাদ আহমদ প্রমুখ।
সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান-কে সকল মামলার জামিন দেওয়া হলে ভিন্ন আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন না দিলে তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কারাগারের সামনে প্রতিবাদ স্বরুপ গণ ইফতারের আয়োজন করেন। এ সময় ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ কারাগারে আটক ফজলে রাব্বি আহসানসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। এ সময় টুকেরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা শফিক আহমদ জামিন পেয়ে বেরিয়ে এলে শত শত নেতাকর্মী তাকে বরন করে নেন।