কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ভুয়া ভিডিও তৈরি করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর অভিযোগ, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এসব করা হচ্ছে।
আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই যোগাযোগের জন্য প্রধানত ব্যবহার করা হয় জুম নামের একটি অ্যাপ।
সরকারপন্থী কয়েকটি অনলাইন প্লাটফর্ম এবং মিডিয়া আউটলেট থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জুম মিটিংয়ে দেয়া বক্তব্যকে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে বিকৃত ও ভুয়া ভিডিও তৈরি করে দেশে–বিদেশে থাকা বিএনপির শুভানুধ্যায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। আবার সেই চাঁদাবাজির ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়েও একই ধরনের ভুয়া ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। বিএনপি তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় ফেসবুক এবং ইউটিউবে থাকা এমন ভুয়া ভিডিওগুলো শনাক্ত করে সেগুলো অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় রীতিবিরুদ্ধ অশালীন ও অপকর্মের হোতারা হয়তো এসব ভিডিও দিয়ে মেসেজ আদান–প্রদানকারী অ্যাপ মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো বা ভাইবার ব্যবহার করে আবারও এমন তৎপরতা চালাতে পারে।
রিজভী বলেন, ‘মিথ্যা অপপ্রচার আর অনাচারের সৃষ্টি ডামি সরকারের সারাক্ষণের সঙ্গী।’
দলের নেতা–কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘বিএনপির কোনো নেতা কখনোই এভাবে ভিডিও কল করে কারও কাছে টাকা চাইবেন না। এই বিশ্বাসটা আপনাদের নিজেদের মধ্যে রাখবেন। কেউ যদি এভাবে ভিডিও কলে আপনাদের কাছে টাকা চান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা দলীয় নেতাদের জানান। যাতে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’
রিজভী বলেন, গত ৭ই জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার উপস্থাপক ও লোগো ব্যবহার করে বেশ কিছু ভুয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়া হয়েছিল। একই সঙ্গে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অফিশিয়াল বক্তব্য দেওয়ার ভিডিওকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিকৃত ও ভুয়া ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল।