নিজস্ব প্রতিবেদক : শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একদিনের মাথায় এবার এমসি কলেজের হোস্টেল ভাঙচুর করলো ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে হোস্টেলের শ্রীকান্ত ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। বহিরাগতদের নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী এক নেতার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল, হোস্টেল সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে বহিরাগত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হোস্টেলে থেকে বের করে দেন।
হোস্টেলে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি এমসি কলেজের হোস্টেলে বহিরাগতদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। এ নিয়ে সোমবার রাতে হোস্টেলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কয়েকজন বহিরাগত যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাসেল নামের এক বহিরাগত যুবক ছুরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমনের চেষ্টা করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বহিরাগত যুবকদের ধাওয়া দিয়ে রাসেলকে আটকিয়ে উত্তম-মধ্যম দেন। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী এক নেতার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন বহিরাগত হোস্টেলের শহীদ শ্রীকান্ত বøকে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
ভাঙুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো: রিয়াজ বলেন- হোস্টেলে যারা থাকে তাদের সঙ্গে অনেক সময় বহিরাগতরা আসে। এ নিয়ে সোমবার রাতে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিলো একজনের। এরই জের ধরে মঙ্গলবার একটু উত্তেজনা হয়েছিলো। পরে সেটা আমরা মিটমাট করে দিয়েছি।
এর আগে সোমবার দুপুরে গায়ে ধাক্কা লাগার জেরে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে মারামারি ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক শিপন মিয়া ও ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভয়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।