প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২৩ , ৭:৫৬:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার:: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের কলকতখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলামে ক্রয় করে প্রায় দুই বছর ধরে টাকা পরিশোধ করছেন না ঠিকাদার জিয়াউর রহমান। তিনি জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের লম্বাবাক গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ এবং বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকার শিক্ষার্থীর অভিভাবকবৃন্দ যৌথ স্বাক্ষরে গত ১৯ জুলাই জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিররণে জানা যায়, কলকতখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ও জরাজীর্ণ ভবন ভাঙ্গার জন্য বিগত ২১/০৯/২০২১ইং তারিখে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা অফিসার মো.শরীফ উদ্দিনের নির্দেশক্রমে সহকারি শিক্ষা অফিসার একেএম আ: ছালাম ও এলজিইডি একাউন্টস অফিসার মো.নুরুজ্জামানের উপস্থিতিতে রেজুলেশন করে ১২/০১/২০২২ইং তারিখে উন্মুক্ত নিলামে ভবনের সর্বোচ্চ দর ১লাখ ৪২হাজার ৫শ টাকা নির্ধারিত হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ঐ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ঠিকাদার জিয়াউর রহমান পুরাতন ভবনটি ক্রয় করেন। কিন্তু নিয়মানুযায়ী নিলামক্রীত পুরাতন ভবন ভাঙ্গার আগেই নিলামের নির্ধারিত মূল্য ব্যাংক চালান মারফত সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে অত্র বিদ্যালয়কে একটি চালান কপি প্রদান করে তারপর পুরাতন ভবন ভেঙ্গে সেখানে নতুন ভবনের কাজ শুরু করার নির্দেশ থাকার পরও ঠিকাদার জিয়াউর রহমান তা করেন নি। প্রায় ১বছর ৮মাস অতিক্রান্ত হলে গেলেও পুরাতন ভবন নিলামের টাকা অদ্যাবধি সরকারি কোষাগারে জমা দেননি ঐ ঠিকাদার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে নিলামের টাকা অদ্যাবধি পরিশোধ না করার প্রেক্ষিতে নিলামক্রেতা এবং নতুন ভবনের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যবৃন্দ এবং ক্যাচমেন্ট এলাকার শিক্ষার্থীর অভিভাবকবৃন্দ। এব্যাপারে ঠিকাদার জিয়াউর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি লাইন কেটে দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানান, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ঠিকাদার জিয়াউর রহমানই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলামে ক্রয় করেছেন। কিন্তু তিনি নিলামের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে এবং ব্যাংক চালান কপি বিদ্যালয়ের কাছে দিতে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা করে আসছেন। নিলামের টাকা পরিশোধ না করে নতুন ভবনের কাজ সমাপ্ত করে ঠিকাদার জিয়াউর রহমান নতুন ভবনের চাবি বিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করতে চাইলে আমরা বলেছি আগে নিলামের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না করলে নতুন ভবনের চাবি গ্রহণ করা হবে না। কারণ বিদ্যালয় হচ্ছে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই আমরা বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, আমি জিয়াউর রহমানকে টাকা পরিশোধ করতে বলেছি। সে টাকা দিয়ে দিবে বলেছে। তবে ২২/০৮/২০২৩ইং এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিলামের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি ঠিকাদার জিয়াউর রহমান।