নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট নগরীতে সাবেক বিএনপি নেতার বাসায় হামলার অভিযোগ উঠছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নগরীর এয়ারপোর্ট থানার হাউজিং এস্টেট এলাকায় সিলেট মহানগর ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাব্বির আহমদ সুয়েলের বাসায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভাংচুরের পাশাপাশি বাসায় থাকা সাব্বিরের বোনকে শাসিয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার ৬নং বাসার বাসিন্দা ফখর উদ্দিন আহমদের পুত্র শেখ সাব্বির আহমদ সুয়েল বর্তমানে প্রবাসে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে থাকতে সিলেট মহানগর ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রবাসে গিয়েও তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্য ফেইসবুকে সরকারবিরোধী লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষারসহ স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিলো। তারা এর আগে একদিন বাসায় এসে সাব্বির আহমদ সুয়েলের বোনকে শাসিয়ে গেছে এবং লেখালেখি বন্ধ করার হুমকী ধামকী দিয়ে গেছে। এরপরও সাব্বির আহমদ সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করায় গতকাল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আব্দুল আলীম তুষারের নেতৃত্বে ৪/৫ টি মোটরসাইকেলে করে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাসায় হামলা চালায়। তারা বাসার ভেতরে ঢুকে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তখন সাব্বির আহমদ সুয়েলের বোন শাহেলা পারভীন স্বপ্না বাসায় ছিলেন। তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
বিএনপি নেতা শেখ সাব্বির আহমদ সুয়েলের বোন শাহেলা পারভীন স্বপ্না বলেন, কোন কারণ ছাড়াই গতকাল সন্ধ্যায় একদল সন্ত্রাসী আমাদের বাসায় ঢুকে ভাংচুর শুরু করে। বাসায় তখন আমি একা ছিলাম। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন বলেন, কারো বাসায় হামলার কোন খবর কেউ আমাদেরকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।