নিজস্ব প্রতিবেদক: গাড়ী ভাংচুরের মামলায় সিলেট নগরীতে বিরোধী দলের ৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ভাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইজুর রহমান হিরু এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের নাম- জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা সামছুজ্জামান জামান (৪০), মতিউল বারী মুর্শেদ (৪০), আব্দুর রাজ্জাক, মওদুল হক মওদুদ (৪২), সুহেল রানা (৩৬), রেহান আহমেদ হারিছ (৪০), সিলেট মহানগরের ছাত্র শিবির নেতা মোঃ কাওছার আহমদ (১৯), সুপ্রিয় চক্রবর্তী (বাবু) (৩০) ও নান্টু দাস (৩০)। মন্ডপ্রাপ্ত সকলেই বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৮ জন আসামীকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট সাদিকুর রহমান চৌধুরী ও এডভোকেট মোঃ আমিনুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর রাত সোয়া ৯:১৫ টার দিকে নগরীর আ্যাদগর দাদাপীরের মাজারে পাশে পেট্রোল পাম্পের সামনে রাস্তায় ১৮ দলীয় জোটের ২৫/৩০ জন উচ্ছৃংখল নেতাকর্মী জমায়েত রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং গাড়ী ভাংচুর করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আসামীগণ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১০ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১৮/২০ জনকে আসামী করে কোতোয়ালী থানাদিন সুবহানিঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এ.এস,আই রবিউল হক মাসুম মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩৯, তারিখ ০৫ ২১/১১/২০১৮ইং)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে কোতোয়ালী থানার এসআই কমল উদ্দিন ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এরপর থেকে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্য শুনানী ও৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত দন্ডাদেশ প্রদান করেন।